রাজ্যে স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বদলি প্রক্রিয়া ফের শুরু হতে চলেছে। বুধবার বিধাননগর গভর্নমেন্ট স্কুলে পুস্তক দিবস অনুষ্ঠানে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, বদলি প্রক্রিয়া কবে চালু করা যায়, সেই বিষয়ে বিকাশ ভবনে বুধবার দুপুরে একটি বৈঠকও হয়েছে।
নিয়োগ নিয়ে দাড়িভিটের স্কুলে বোমা-গুলি ও প্রাণহানির ঘটনার পরে শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছিল সরকার। শূন্য শিক্ষকপদ নিয়ে টানাপড়েনের জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক বদলিও বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলশিক্ষা দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তির আগে বদলির আবেদন করা যাবে না। ফলে শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষক শিবির জানাচ্ছে, ফের কবে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেই দিকে তাকিয়ে আছেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত অনুযায়ী সমবণ্টনের স্বার্থেই শিক্ষকদের বদলি প্রয়োজন। কয়েকটি স্কুলে দেখা যাচ্ছে, প্রচুর পড়ুয়া, কিন্তু শিক্ষকের অভাব। কোনও কোনও স্কুলে আবার দেখা যাচ্ছে, শিক্ষক অনেক, কিন্তু সেই তুলনায় পড়ুয়া নেই। তাই একটা সমবণ্টন হওয়া খুব দরকার।’’
তিনি জানান, পঞ্চম থেকে অষ্টম এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক চাই, এই মর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। তার জেরেই কয়েকটি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা বণ্টনে কিছুটা অসাম্য হয়ে যায়। কোন স্কুলে কত শিক্ষক আছেন, তার একটা হিসেব নেওয়া হচ্ছে। সেই হিসেব হয়ে
গেলেই বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ‘‘বদলির ব্যাপারে মেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শিক্ষিকা যে-জেলার বাসিন্দা অথবা যে-জেলায় তাঁর বিয়ে হয়েছে, তিনি যাতে সেই জেলারই কোনও স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারেন, সেটা খেয়াল রাখা হবে,’’ বলেন পার্থবাবু।
ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে ৬৫টি বাংলা মাধ্যমের স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমেও পঠনপাঠন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘আমরা ১০০টি স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যম করতে চলেছি।’