West Bengal Transport Department

পরিবহণকে সচল রাখতে বলে আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা পরিবহণ মন্ত্রীর

স্নেহাশিস বলেন, ‘‘যতটুকু আমার এক্তিয়ারের মধ্যে করা সম্ভব, ওঁদের জন্য করব। কারণ, ওঁদেরও পরিবার আছে। কিন্তু কোনও মতেই একজন পরিবহণ কর্মী হিসেবে পরিবহণকে অচল করে দেওয়া তাঁদের কাজের মধ্যে পড়ে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:১৯
Share:

চুঁচুড়ার বাস ডিপোয় পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ফেসবুক থেকে নেওয়া।

আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি বাস ডিপোগুলিতে এক ঝাঁক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন পরিবহণ কর্মীরা। তার ফলে রাজ্য জুড়ে সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এ বার আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অস্থায়ী কর্মী যাঁরা আছেন, তাঁরা কন্ট্র্যাকচুয়াল লেবার হিসেবে কয়েকটা এজেন্সির মাধ্যমে ঢুকেছিলেন। এঁদের নিজস্ব কিছু দাবিদাওয়া আছে। আপাতত আমি কর্পোরেশনকে ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি, কারণ ওঁরা কর্পোরেশনের অধীনেই কাজ করছেন। আমি মন্ত্রী হিসেবে ওঁদের সঙ্গে কথা বলব।’’

Advertisement

স্নেহাশিস বলেন, ‘‘যতটুকু আমার এক্তিয়ারের মধ্যে করা সম্ভব, ওঁদের জন্য করব। কারণ, ওঁদেরও পরিবার আছে। কিন্তু কোনও মতেই একজন পরিবহণ কর্মী হিসেবে পরিবহণকে অচল করে দেওয়া তাঁদের কাজের মধ্যে পড়ে না। আমি বার বার বলেছি, পরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল রাখুন। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের বলব, আপনারা পুজোর সময় আন্দোলন না করে আপনাদের যা দাবিদাওয়া আছে, সেগুলো জানান। আমরা সেটা বিবেচনা করব।’’

আসানসোল এসবিএসটিসি বাস ডিপোর অস্থায়ী কর্মীরা তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে শনিবারও কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন। আসানসোল বাস ডিপোয় থাকা ১৩৮ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করার দাবিসহ সাত দফা দাবিতে এই কর্মবিরতি সরকারি বাস কর্মচারীদের। শুধু মাত্র স্থায়ী কর্মীরাই বাস চালাচ্ছেন, কন্ডাক্টরের কাজও করছেন। অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতিতে সরকারি বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি বাস চলছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের পরিবহণ ক্ষেত্রের সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে শুক্রবার কলকাতায় এক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে কোনও ফল হয়নি। আন্দোলনরত কর্মীরা এনবিএসটিসির মতো আপাতত বেতন চাইছেন এবং ২৬ দিন কাজের দাবি মানতে বলছেন। কিন্তু এই দু'টি দাবিও মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। কালীপুজোর পর বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করার জন্য চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন এবং পুজোর মরসুমে বাস চালানোর জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কমপক্ষে ওই দু'টি দাবি না মানলে কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন, যা কোনও ভাবেই মানতে নারাজ রাজ্য পরিবহণ দফতর।

Advertisement

প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যে তাঁরা যুক্ত নন, তা ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন