অচলাবস্থা কাটল হলদিয়া বন্দরে। ধর্মঘট তুলে নিলেন ট্রান্সপোর্টাররা। শনিবার দুপুর থেকে তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন। ফলে, হলদিয়া বন্দরে আটকে থাকা পণ্য বেরোতে শুরু করেছে। সঞ্জীব শেঠ নামে এক ট্রান্সপোর্টার মানছেন, ‘‘কাজে যোগ দিয়েছি। শনিবার থেকে কার্গো লোডিং-আনলোডিং করছি।’’
বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘ব্যর্থতা’ এবং শিল্প নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘হেনস্থা’র অভিযোগ তুলে গত সোমবার থেকে ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন কয়েকশো ট্রান্সপোর্টার। তার জেরে বন্দরে আসা বেশ কিছু জাহাজ আটকে পড়েছিল, পণ্য খালাস করা সম্ভব হয়নি। এ দিন জট কাটলেও অভিযোগ, ট্রান্সপোর্টারদের দিয়ে ‘ধর্মঘট করা যাবে না’ বলে মুচলেকা লেখানো হয়েছে। বন্দর সূত্রে অবশ্য দাবি, ট্রান্সপোর্টাররা স্বেচ্ছায় অঙ্গীকার পত্রে সই করে কাজে যোগ দিয়েছেন। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার( ট্রাফিক) স্বপনকুমার সাহা রায় বলেন, ‘‘এ দিন ট্রান্সপোর্টাররা অঙ্গীকারপত্রে সই করে কাজে যোগ দিয়েছেন। কাউকে জোর করা হয়েছে বলে কোনও অভিযোগ আসেনি।’’
তিন মাসের মধ্যে একাধিকবার ট্রান্সপোর্টারদের ধর্মঘটে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে শিল্প সংস্থাগুলি। দফায় দফায় টানা কয়েক দিন ধর্মঘট চলায় কারখানায় উৎপাদন ‘বিঘ্নিত’ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি যাতে আর না হয় তাই রাজ্যের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বণিকসভা। শুক্রবার রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ‘মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স’-এর ডেপুটি ডিরেক্টর শুভাশিস রায় বলেন, ‘‘কোনও কারখানায় যাতে উৎপাদন কোনও মতে বন্ধ না হয়ে যায়, তাই রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছি আমরা।’’