বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য রাস্তার দু’পাশের গাছ কাটা হচ্ছিল পুরোদমে। বৃক্ষ নিধনের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহ ওই সড়কের ধারের কোনও গাছ কাটা যাবে না। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশে বৃক্ষপ্রেমীরা আপাতত স্বস্তিতে।
গাছ বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন ওই জাতীয় সড়কের দু’ধারের বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সংগঠন। তাঁদের দাবি, উন্নয়নের কাজ করতে হবে গাছ বাঁচিয়েই। গাছ কাটার কাজ সাত দিন স্থগিত রাখার জন্য উচ্চ আদালত এ দিন যে-নির্দেশ দিয়েছে, আন্দোলনকারীরা সেটাকে নিজেদের প্রাথমিক জয় হিসেবেই দেখছেন।
বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ যশোর রোডে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সেই কাজে যুক্ত হয়েছে রাজ্যের পূর্ত দফতরও। সড়ক সম্প্রসারণ কর্মসূচির প্রথম দফায় রেললাইনের উপরে কয়েকটি উড়ালপুল তৈরির জন্য যশোর রোডের দু’পাশের ৩৫৬টি প্রাচীন গাছ কাটার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। পূর্ত দফতরের বক্তব্য, উড়ালপুল তৈরি করার জন্য ওই সব গাছ কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
গাছ না-কেটে সড়ক সম্প্রসারণের দাবিতে ‘যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি’ গড়ে একজোট হন ছাত্রছাত্রী, এপিডিআর এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, গাছ কাটার জন্য বন দফতরের
যথাযথ অনুমতি নেওয়া হয়নি। এপিডিআরের অভিযোগ, রাজ্যের বন দফতর কাছ থেকে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়া হয় গত জুলাইয়ে। তার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই। ওই সংগঠনের আইনজীবী জানান, বিচারপতি মাত্রে রাজ্য, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, পূর্ত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রকল্পের সব নথি ও অনুমতিপত্র আদালতে পেশ করতে হবে। পরবর্তী শুনানি হবে শুক্রবার।