আবার দু’টি সমবায়ে হারল তৃণমূল

পুরনিগমের ভোট বা পঞ্চায়েতের উপ-নির্বাচনে শাসকদলের ‘সন্ত্রাসে’ হালে পানি পায়নি বিরোধীরা। কিন্তু সমবায়ের ভোটে শাসকদলের হার অব্যাহত। রবিবার ফের হাওড়া ও পুরুলিয়ায় দু’টি সমবায়ের ভোটে হারল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল ও পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৩৬
Share:

পুরনিগমের ভোট বা পঞ্চায়েতের উপ-নির্বাচনে শাসকদলের ‘সন্ত্রাসে’ হালে পানি পায়নি বিরোধীরা। কিন্তু সমবায়ের ভোটে শাসকদলের হার অব্যাহত। রবিবার ফের হাওড়া ও পুরুলিয়ায় দু’টি সমবায়ের ভোটে হারল তৃণমূল। হাওড়ায় জিতল বামেরা। পুরুলিয়ায় কংগ্রেস। দু’টি ক্ষেত্রেই নির্বাচন পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

হাওড়ার সাঁকরাইলের শ্যামাপ্রসন্ন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ১২টি আসনেই জিতেছেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। সমিতি সূত্রের খবর, ১৯৯৫ সালে তৈরি হওয়ার পরে এই প্রথম এখানে ভোট হল। দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছিলেন সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দার। কিন্তু রবিবার রাতে ফল প্রকাশের পরে দেখা যায় ১২টি আসনের সব ক’টিতেই বড় ব্যবধানে জিতেছেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা।

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নন্দলাল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘গণনা শুরু হওয়ার পরে হার নিশ্চিত বুঝে স্থানীয় বিধায়কের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতারা গণনা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে আমরা চাপের মুখে মাথা নত করিনি।’’ অভিযোগ উড়িয়ে বিধায়কের দাবি, ‘‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা ছিল না।’’ জেলা তৃণমূল (শহর) সভাপতি ও মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, হারের কারণ খোঁজা হবে। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, পদ্ধতি মেনেই নির্বাচন হয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ইউনাইটেড ফার্মার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি অ্যান্ড ল্যাম্পসের নির্বাচনে ৩৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ২৩টি, তৃণমূল ৮টি এবং বামেরা ৪টি পেয়েছে। অযোধ্যা, মাঠা, সিন্দরি ও বাঘমুণ্ডি—এই চারটি পঞ্চায়েত রয়েছে এই সমবায়ের আওতায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লকের এক তৃণমূল নেতার দাবি, ‘‘দল এমন লোকজনকে এই এলাকায় দায়িত্বে রেখেছে যাঁদের জনসমর্থন নেই। তাই এই হার।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক তৃণমূল সভাপতি গয়াসুর মাঝি এই ভোটের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। ফল প্রকাশের পরে তাঁর দাবি, ‘‘সমবায়ের সদস্য হিসেবে নির্বাচনে স্বচ্ছতা চেয়ে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলাম। লড়াই করে ৮টি আসন পেয়েছি। সেটিও কম নয়।’’ বাঘমুণ্ডির কংগ্রেস বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর পাল্টা দাবি, ‘‘উনি হার নিশ্চিত বুঝেই আদালতে মামলা করেছিলেন। আদালত সেই মামলা খারিজ করার পাশাপাশি উল্টে ওঁকে আর্থিক জরিমানা করে।’’

কয়েক মাসে বেলপাহাড়ি থেকে শুরু করে বান্দোয়ান, গাইঘাটা, তালড্যাংরা-সহ কয়েকটি এলাকায় সমবায়ের ভোটে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল। সেই তালিকায় এ বার যুক্ত হল সাঁকরাইল ও বাঘমুণ্ডির সমবায়ও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন