অসুস্থ এক যাত্রীর অপরাধ, সাধারণ টিকিট নিয়ে সংরক্ষিত কামরায় উঠেছিলেন। দরজার পাশেই বসেছিলেন। রবিবার সকালে আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এস ২ কামরার টিটিই তাঁর কাছ থেকে জরিমানা চান। কিন্তু তা দিতে না পারায় মালদহের চাঁচলের বাসিন্দা মহম্মদ আলাউদ্দিনকে ওই টিটিই ঠেলে সামসি স্টেশনে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আলাউদ্দিনের দাবি, তাঁকে মারধর করে এটিএম ও ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়।
বছর ত্রিশের আলাউদ্দিন এ দিন ফরাক্কায় চিকিৎসককে দেখিয়ে সামসিতে ফিরছিলেন। অভিযোগ, কুমারগঞ্জ স্টেশনে এসে টিটিই তাঁর কাছে টিকিট দেখতে চান। কিন্তু সংরক্ষিত কামরার টিকিট না থাকায় টিটিই এক হাজার টাকা দাবি করেন। আলাউদ্দিন জানান, তাঁর সঙ্গে দু’শো টাকা রয়েছে। শুনেই টিটিই তাঁর জামার কলার ধরে লাথি মেরে দুটি কামরার মাঝে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। এরপর ফের টেনে তুলে প্যান্ট হাতড়ে মানিব্যাগ বের করে নেওয়া হয়। তাতে এটিএম কার্ড, ভোটার ও প্যান কার্ড ছাড়া টাকাও ছিল। এরপর সামসি স্টেশনে ট্রেন থামার আগেই আলাউদ্দিনকে ওই টিটিই ধাক্কা মেরে প্ল্যাটফর্মে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবককে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন, ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে হয়তো পড়ে গিয়েছেন। যাত্রীরা তাঁকে ওয়েটিং রুমে নিয়ে আসেন। সেখানে সব জানা যায়। তত ক্ষণে ট্রেনটি বেরিয়ে গিয়েছে। যাত্রীর দাঁড়ানোরও ক্ষমতা ছিল না। রেল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেই তাঁকে মালতীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোমরে আঘাত-সহ ওই যাত্রী সারা শরীরে জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিকেলে রেল পুলিশের পাশাপাশি স্টেশন ম্যানেজারের কাছেও অভিযোগ জানান ওই যাত্রী। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম উমাশঙ্কর সিংহ যাদব বলে, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
সামসির স্টেশন ম্যানেজার বিমলেন্দু রায় এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। জিআরপির মালদহের আইসি কৃষ্ণগোপাল দত্ত বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ মালতীপুরের বিধায়ক আলবেরুনি জুলকারনাইনও ডিআরএমের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিধায়ক বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছি। নয়তো আমরা যে পথে নামব সে কথাও জানিয়ে দিয়েছি।