ফাইল চিত্র।
অজমের শরিফ থেকে ধৃত সিপিএম নেতা জাকির বল্লুককে ট্রানজিট রিমান্ডে এনে মঙ্গলবার বারাসত কোর্টে তোলার পরে ধুন্ধুমার বাধল! চত্বরে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা জাকিরের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। জাকিরের মুক্তির দাবিতে পাল্টা স্লোগান তোলে কর্মী-সমর্থেকরা। দু’পক্ষে হাতাহাতি বাধে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। এজলাসেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের আইনজীবীরা।
পঞ্চায়েতের বোর্ড দখল ঘিরে সংঘর্ষে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। তাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে জাকিরকে। সরকারি কৌঁসুলি এ দিন জাকিরের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবি জানান। তবে বিচারক তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
উত্তর ২৪ পরগনার এসপি সি সুধাকর এ দিনই জানান, এখনও পর্যন্ত আমডাঙার ঘটনায় ৩ হাজারের মতো বোমা, ৭৫ রাউন্ড গুলি ও প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষে বিদেশ থেকে আনা ‘এ কে ৪৭’-এর মতো অস্ত্রও ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে শাসক দলই। তেমন কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে কি? এসপি-র কথায়, ‘‘হেফাজতে নেওয়ার পরে জাকিরকে জেরা, তাঁকে নিয়ে তল্লাশি চলবে।’’
বিমান বসু এ দিনই আমডাঙা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জাকির তো দুষ্কৃতী নয়, সে নির্বাচিত প্রতিনিধি। অনেক লড়াই করে সে এগিয়েছে। এখন ব্যবসার কাজ করে। বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত করতে না পেরে তৃণমূল বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।’’ কিন্তু জাকির পালিয়ে গেলেন কেন? বিমানবাবুর দাবি, ‘‘ওর বন্ধুরা বলেছিল, ও চলে গিয়েছে। আমরা আগে জানতে পারলে বারণ করতাম।’’ আমডাঙার তারাবেড়িয়া, বোদাই ও মরিচা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন স্থগিত রয়েছে। মরিচায় গিয়ে এ দিন কর্মিসভা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।