সোনা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন দুই পুলিশ কর্তা শুভঙ্কর দে এবং চিত্ত পাল সোমবার ঘাটাল আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন। ব্যবসায়ীর টাকা হাতানোর মামলায় অভিযুক্ত খড়্গপুর লোকাল থানার প্রাক্তন ওসি রাজশেখর পাইনকে ফের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল মেদিনীপুর সিজেএম আদালত।
দিন কয়েক আগেই দুই পুলিশ কর্তার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানায় সিআইডি। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুরও করেন। এ দিন আদালতের নির্দেশে দুই পুলিশ অফিসারকেই ঘাটাল আদালতে হাজির করে সিআইডি। গোপন জবানবন্দির পর পুলিশি ঘেরাটপে দু’জনকে ঘাটাল উপ-সংশোধনাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ দিনই দাসপুর থানার প্রাক্তন ওসি প্রদীপ রথ ও ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন মোটর ট্রান্সপোর্ট অফিসার দেবাশিস দাসকে ঘাটাল আদালতে হাজির করে সিআইডি। বিচারক প্রদীপ রথকে পাঁচদিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠায়। দেবাশিস দাসকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঘাটালের এসিজেএম লীনা গোলদার।
টাকা হাতানোর মামলায় অভিযুক্ত রাজশেখরকে এ দিন সিজেএম আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে চায় সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থা তিনদিনের জন্য হেফাজত চাইলেওে বিচারক দু’দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। সরকারপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব আদালতে জানান, ধৃতের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তদন্তের স্বার্থেই ধৃতকে ফের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী মৃণাল চৌধুরীর দাবি, “কোনও তথ্য পায়নি সিআইডি। এটা মিথ্যা মামলা।”