ফের দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কে

জাতীয় সড়কের গেরো যেন কাটছেই না। বর্ধমানের রথতলায় জাতীয় সড়কের উপর পরপর দু’দিন দুটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আট জনের। শুক্রবার গাংপুরে জাতীয় সড়কে ফের একটি দুর্ঘটনায় জখম হন এক জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও গলসি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৭ ০১:২১
Share:

জাতীয় সড়কের গেরো যেন কাটছেই না।

Advertisement

বর্ধমানের রথতলায় জাতীয় সড়কের উপর পরপর দু’দিন দুটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আট জনের। শুক্রবার গাংপুরে জাতীয় সড়কে ফের একটি দুর্ঘটনায় জখম হন এক জন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একই রকম ভাবে দ্রুত গতিতে পাশ কাটাতে চাওয়া গাড়িকে জায়গা দিতে গিয়ে ডিভাইডারে উঠে পড়ে গাড়িটি। টাল সামলাতে না পেরে উল্টে যায়। সামনের কাচ ভেঙে জখম হন এক জন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার বেহালা থেকে সাত জনকে নিয়ে দুর্গাপুর যাচ্ছিল গাড়িটি। তিন জন পুরুষ, দুই মহিলা ও দুটি শিশু ছিল গাড়িটিতে।

Advertisement

পরপর দুর্ঘটনার পিছনে কয়েকটি কারণ সামনে এসেছে। জাতীয় সড়ক ধরে যেখানে ৮০-১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছোট গাড়ির যাওয়ার কথা নয়, সেখানে এ দিনও গাড়িটি ১২০-৩০ গতিতে চলছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয়েরা। নবাবহাট, উল্লাস মোড়, গলসির কিছু দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গায় আস্তে যাওয়ার সাবধান-বাণী ঝুলিয়েও লাভ হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে ট্রাকের বেপরোয়া গতি, রাস্তার ধারের বেআইনি পার্কিং নিয়েও। পুলিশের যদিও দাবি, দুর্ঘটনায় রাশ টানতে কড়া নজরদারি তো বটেই, যন্ত্র বসিয়ে গতিতেও রাশ টানতে চলেছেন তাঁরা।

এ দিন বিকেলে গলসির পারাজ মোড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ছাদে যাত্রী নিয়ে যাওয়া বাস আটকায় গলসি থানার পুলিশ। যাত্রীদের বিপদ এবং আইন না মানা— দু’দিন বুঝিয়ে সর্তক করা হয় বাস চালকদের। হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহীদেরও সর্তক করা হয়। যদিও পুলিশের দাবি, শুধু কড়া বার্তা দিয়ে লাভ নেই সাধারণ মানুষ সতর্ক না হলে সমস্যা মিটবে না। এ দিন প্রায় আটটি বাসের ছাদ থেকে যাত্রীদের নামায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, অভিযান চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন