UGC

প্রশ্নমালা নিয়ে ইউজিসি, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাবা-মা

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এই প্রশ্নমালা নিয়েই ঘুরল ইজিসির প্রতিনিধিদল। শুধু প্রশ্ন নয়, কিছু পরামর্শও তাঁরা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিল প্রশ্নমালা।

Advertisement

পড়ুয়াদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের আবাসিক পড়ুয়াদের নিরাপত্তা, আশপাশে মেসে থাকা পড়ুয়ারা কী ভাবে থাকছেন, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কতটা ওয়াকিবহাল— সেই সব প্রশ্ন ছিল সেখানে।

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এই প্রশ্নমালা নিয়েই ঘুরল ইজিসির প্রতিনিধিদল। শুধু প্রশ্ন নয়, কিছু পরামর্শও তাঁরা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। মেসে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সম্পর্কে এ বার থেকে খোঁজখবর নিতে হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, র‌্যাগিং আটকাতে কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের কতটা সচেতন করেন এবং কী ভাবে সচেতন করেন।

Advertisement

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সেই দলটি বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘ওঁরা ওঁদের মতো কয়েক জনকে জিজ্ঞেস করেছেন। আমার সঙ্গে কথা হয়নি। আলাদা ঘরে কয়েক জনকে ডেকেছেন। কাদের ডেকেছেন, সেটাও আমি জানি না। আমার কাছে কোনও রিপোর্টও চায়নি।’’ সিসি ক্যামেরা বসানো প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব বলেন, ‘‘ছাত্র বিক্ষোভ হোক বা যা-ই হোক, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন গেটে সিসি ক্যামেরা লাগবেই।’’

সূত্রের খবর, সোমবার সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সহ-উপাচার্য, ডিন অব স্টুডেন্টস, মেন হস্টেলের দুই সুপারের সঙ্গে কথা বলেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। মৃত ওই ছাত্র যে হেতু বাংলা বিভাগে ছিলেন, তাই বাংলা বিভাগের কয়েক জন অধ্যাপকের সঙ্গেও কথা হয় তাঁদের।

এ দিকে, সোমবার নদিয়া থেকে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত ছাত্রের বাবা-মা। রাজ্য সরকারের একাধিক পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় আধ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিবারের দাবি, দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থার পাশাপাশি বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল ওই ছাত্রের নামে করে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়েছেন। ছাত্রের মায়ের কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত বিষয়েও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মৃত পড়ুয়ার মা বলেন, “দিদির কথা যা শুনলাম, তাতে আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কাউকে ছাড়া হবে না, এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমি বলেছি, আমার নয়, দুই ছেলে আপনার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement