টয় ট্রেনের ঐতিহ্য সংরক্ষণে সুংসহত পরিকল্পনা তৈরির জন্য ইউনেস্কোর সঙ্গে চুক্তি করল ভারতীয় রেল। শুক্রবার দুপুরে দার্জিলিঙের গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর উপস্থিতিতে রেল বোর্ডের সচিব আর কে বর্মা ও ইউনেস্কোর অধিকর্তা শিগেরু আয়াগি ওই চুক্তি সই করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘টয় ট্রেনের ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর মতো সংস্থার সহযোগিতা জরুরি। তবে দার্জিলিংবাসী টয় ট্রেনকে চোখের মণির মতো আগলে রাখায় কাজটা করতে সুবিধা হচ্ছে।’’ টয় ট্রেনকে আরও জনপ্রিয় করতে আইআরসিটিসকেও সামিল করা হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী। সুরেশ জানান, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গেও ট্রেন যোগাযোগ বাড়াতে চান তাঁরা। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও মায়ানমার সঙ্গেও ট্রেন যোগাযোগ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আপাতত বাংলাদেশের সঙ্গেই শুধু রেল যোগাযোগ রয়েছে।
এ দিন হাওড়া ও নোয়াপাড়াতেও রেলের দু’টি আলাদা অনুষ্ঠান হয়েছে। এই দু’টি অনুষ্ঠানের সঙ্গে দার্জিলিং থেকে যুক্ত করা হয় সুরেশ প্রভুকে। দার্জিলিং থেকেই হাওড়া থেকে যশোবন্তপুর পর্যন্ত একটি নতুন ‘হামসফর’ ট্রেন চালু করেন তিনি। রেলমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল হাওড়া স্টেশনে। মঞ্চে টিভি স্ক্রিনে রেলমন্ত্রীর পতাকা নাড়ার দৃশ্য ফুটে উঠতেই হাওড়া স্টেশনে রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ও পতাকা নেড়ে ট্রেনটি চালু করেন। ট্রেনটির সব কামরাই বাতানুকূল। ট্রেনটিতে রয়েছে দূষণমুক্ত বায়োটয়লেট।
মেট্রো রেলের নোয়াপাড়া স্টেশনে যাত্রীদের জন্য একটি নতুন প্ল্যাটর্ফম উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। দমদম স্টেশনে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি লিফটও চালু করেন তিনি।