শিক্ষা-শিরোপা অটুট কলকাতা ও যাদবপুরের

দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গত বারের মতো এ বারেও পঞ্চম স্থানে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩২
Share:

প্রাদেশিক এবং সর্বভারতীয়, দু’টি বিভাগেই নিজেদের স্থান অটুট রাখল রাজ্যের দুই বিশ্ববিদ্যালয়।

গত বছরের মতো এ বারেও ‘কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে’ দেশের প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় স্থানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। একই ভাবে গত বারের স্থান অক্ষুণ্ণ রেখে এ বারেও দেশের মধ্যে একাদশ স্থানে রয়েছে কলকাতা এবং যাদবপুর রয়েছে দ্বাদশ স্থানে। অর্থাৎ প্রাদেশিক এবং সর্বভারতীয়, দু’টি বিভাগেই নিজেদের স্থান অটুট রাখল রাজ্যের এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গত বারের মতো এ বারেও পঞ্চম স্থানে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর।

আন্তর্জাতিক স্তরে উচ্চশিক্ষা সমীক্ষাকারী ‘কিউএস’-এর বিচারে পরপর দু’বার বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সেরার শিরোপা পাওয়ায় অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ‘এই স্বীকৃতি বাংলার মেধা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক শিক্ষানীতির প্রতিফলন।’

Advertisement

বাছাইয়ের মাপকাঠি

• পঠনপাঠনের সুনাম।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা যে-সব সংস্থায় চাকরি পান, তার মান।
• ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত
• পিএইচ ডি ডিগ্রি আছে ক’জন শিক্ষকের।
• শিক্ষক-পিছু গবেষণাপত্রের সংখ্যা।
• প্রতিটি গবেষণাপত্রের সাইটেশন কত।
• আন্তর্জাতিক শিক্ষক ক’জন।
• আন্তর্জাতিক ছাত্র-সংখ্যা।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘‘গত বার যেখানে ছিলাম, এ বারেও সেখানেই আছি আমরা। কিউএসের বিচারে আমাদের অবস্থানের কোনও বদল হয়নি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও নিজের স্থান ধরে রাখায় অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ সুরঞ্জনবাবু প্রথমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপাচার্য ছিলেন। সেখান থেকে গিয়েছেন যাদবপুরে। সারা পৃথিবার নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর রয়েছে ৬৫১ থেকে ৭০০-র মধ্যে। ৮০১ থেকে হাজারের মধ্যে আছে কলকাতা। বিশ্বব্যাপী র‌্যাঙ্কিংয়ের মাপকাঠি একটু অন্য রকম।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু বলেন, ‘‘খুবই আনন্দের খবর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গত বারের স্থানই ধরে রাখতে পেরেছে তার ছাত্র, শিক্ষক, গবেষকদের উন্নত মানের জন্য।’’ প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কলকাতা ও যাদবপুর ফের শীর্ষে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই এগিয়েছে খড়্গপুর আইআইটি। ওই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে এ বার আমরা অনেক এগিয়ে ঠাঁই পেয়েছি ২৮১ নম্বরে। গত বার ছিলাম ২৯৫তম স্থানে। ভারতীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থান ধরে রেখেছি। আগামী দিনে প্রথম স্থান দখলের অপেক্ষায় রয়েছি।”

পঠনপাঠনে সুনাম, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা যে-সব সংস্থায় চাকরি পান, তার মান, ক’জন শিক্ষকের পিএইচ ডি ডিগ্রি রয়েছে— এমন আটটি মাপকাঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নম্বর দিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা। দেশের নিরিখে পরপর দু’বার শীর্ষেই থাকল আইআইটি মুম্বই। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স বেঙ্গালুরু রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। গত বারের থেকে এক ধাপ এগিয়ে এ বার আইআইটি মাদ্রাজকে পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে আইআইটি দিল্লি। দেশের মধ্যে প্রথম দশের তালিকায় এ বারেও রয়েছে হায়দরাবাদ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন