মাথায় দেনার দায়, অপমৃত্যু দম্পতির

তদন্তকারীরা জানান, স্ত্রী সুপ্রভা আর ছ’বছরের মেয়ে নেহাশ্রীকে নিয়ে সংসার ছিল পেশায় গাড়ির চালক অসীমের। উল্টো দিকে একটি বাড়িতে থাকেন অসীমের বাবা সন্তোষবাবু ও মা মিনাদেবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রান্নাঘরে অঝোরে কেঁদে চলেছে বছর ছয়েকের শিশুটি। নাতনির কান্না শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন ঠাকুরদা, ঠাকুমা। দেখেন, ছেলে-বৌমার ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বেনাচিতির নতুনপল্লির ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত দেনার দায়েই অপমৃত্যু হয়েছে অসীম পাল (৩০) ও সুপ্রভা পাল (২৫) নামে ওই দম্পতির।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, স্ত্রী সুপ্রভা আর ছ’বছরের মেয়ে নেহাশ্রীকে নিয়ে সংসার ছিল পেশায় গাড়ির চালক অসীমের। উল্টো দিকে একটি বাড়িতে থাকেন অসীমের বাবা সন্তোষবাবু ও মা মিনাদেবী। সন্তোষবাবু জানান, সকাল ৭টা নাগাদ নাতনির কান্না শুনে তাঁরা এসে দেখেন, রান্নাঘরের চালের রড থেকে দু’টি শাড়ির ফাঁসে পাশাপাশি ঝুলছে ছেলে-বৌমার দেহ। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘর তৈরির জন্য বাজার থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন অসীম। টাকা চাইতে প্রায়ই বাড়িতে আসতেন পাওনাদারেরা। সন্তোষবাবুও বলেন, ‘‘ছেলে কয়েক দিন আগে আমার কাছে টাকা চেয়েছিল। দিতে পারিনি। দেনার দায়েই হয়তো আত্মঘাতী হল ছেলে, বৌমা।’’ পুলিশ জানায়, দম্পতির বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি মিলেছে। সেখানে কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন অসীম, তা রয়েছে। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা শরবিন্দু (বিপ্লব) বিশ্বাস। তাঁর দাবি, ‘‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ২০ শতাংশ হারেও সুদ নিয়েছিলেন অসীম। এত চড়া সুদ শোধ করার মতো আর্থিক ক্ষমতা ওঁর ছিল না। যাঁরা অভাবের সুযোগে এ ভাবে চড়া সুদে টাকা ধার দিয়ে আখের গোছান, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসন পদক্ষেপ করুক।’’ পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন