খুবলে খেল কে, চিতাবাঘ?

মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় এই চা বাগানের ২২ নম্বর সেকশনে এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শুকুরমণি ওঁরাও (৫১) নামে ওই মহিলার ডান পায়ের উপরের অংশ এবং বুকের ডানদিকটা খোবলানো অবস্থায় ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

একশো বছর আগে গাড়োয়াল হিমালয়ে ত্রাস তৈরি করেছিল এক চিতাবাঘ। ‘দ্য ম্যান ইটিং লেপার্ড অব রুদ্রপ্রয়াগ’-এ পরে রুদ্রপ্রয়াগের সেই চিতাবাঘ শিকারের গল্প লিখেছিলেন জিম করবেট। তাঁর সেই গল্পের ছায়াই যেন ফিরে এল মালবাজারে। এলাকায় ছড়িয়েছে ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘের আতঙ্ক।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় এই চা বাগানের ২২ নম্বর সেকশনে এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শুকুরমণি ওঁরাও (৫১) নামে ওই মহিলার ডান পায়ের উপরের অংশ এবং বুকের ডানদিকটা খোবলানো অবস্থায় ছিল। বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, চিতাবাঘের হামলাতেই এই মৃত্যু। দেহটির আশপাশে চিতাবাঘের পায়ের ছাপও মিলেছে। মহিলাকে টানা-হেঁচড়ার দাগ রয়েছে মাটিতে। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “বনকর্মীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছি।” ক্ষতিপূরণ বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে চিতাবাঘ ধরার খাঁচাও বসিয়ে দেয় বন দফতর।

মৃত শুকুরমণির বাড়ি বেতগুড়ি চা বাগানের চইতু লাইন এলাকায়। তিনি ও তার স্বামী বিরসাই ওঁরাও বেতগুড়ির একটি ছোট চা বাগানে কাজ করতেন। সোমবার স্বামীর সঙ্গে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার কথা। তবে শুকুরমণি পরে ফিরবেন বলেও আর ফেরেননি। মঙ্গলবার তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় দেহে কাদামাটির দাগও লেগে ছিল। চিতাবাঘের হামলাতেই মৃত্যু কিনা তা ময়নাতদন্তেই জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চিতাবাঘের হামলায় পরিণত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা চা বলয়ে এই প্রথম বলে দাবি এলাকাবাসীদের।

Advertisement

বেতগুড়িতে শ্রমিকেরা এ দিন কাজে যোগ দেননি। চিতাবাঘটি আবার হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন চা শ্রমিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন