রাজনৈতিক কর্মসূচি, না কি ‘চোর-পুলিশ’ খেলা? বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার কর্মসূচি নিয়ে এ প্রশ্নই উঠল বিভিন্ন মহলে।
মাধ্যমিকে ‘প্রশ্ন ফাঁস’এর অভিযোগে এ দিনপ্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল যুব মোর্চা। বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ মোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ সিকদারের নেতৃত্বে প্রথমে একটি দল সদর দফতর থেকে বেরিয়ে মিছিল করে এগিয়ে যায় কলেজ স্ট্রিটের দিকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকায়। গ্রেফতার হন কয়েকজন কর্মী। এর খানিকক্ষণের মধ্যেই শোনা যায়, আর একটি দল চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। বিজেপির কার্যালয়ের সামনে দিয়েই সেখানে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সামান্য লাঠিচার্জ করে মিনিট দু’য়েকের অবরোধ তোলা হয়। তখনই কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ স্থানীয় অফিসারের সহাস্য মন্তব্য, ‘‘এ কি চোর-পুলিশ খেলা নাকি?’’
‘খেলা’র অবশ্য সেখানেই শেষ নয়। এতক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচিতে অংশ নেননি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার। আচমকাই একটি দল নিয়ে এরপর তিনি লালবাজারের দিকে রওনা হন। কিন্তু সে পর্যন্ত না গিয়ে তাঁরা ফিরে আসেন কলেজ স্ট্রিটের দিকে। সেখানে ফের পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। গ্রেফতার হন দেবজিৎ। বিকেলে লালবাজার সূত্রে জানা যায়, দেবজিৎ-সহ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজেপির অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি যুব মোর্চাতেও এ বার ভাঙন ধরল? সে জন্যই একই কর্মসূচির একটি ভাগের নেতৃত্ব দিলেন সৌরভ, অন্যটির দেবজিৎ?