Firhad Hakim

ক্রেন নয়, আগামী বছর থেকে বিসর্জনের দায়িত্বে থাকবেন ভাসান কুলিরা, জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

বিসর্জনের দায়িত্বে থাকা কলকাতার পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্রেনে করে বিসর্জনের পরে প্রতিমা তুলে ফেলার সময় যে দৃশ্যদূষণ হয়, তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চাইছে পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫২
Share:

বাবুঘাটে বিসর্জনপর্ব দেখতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র

প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই গঙ্গাবক্ষ থেকে দ্রুত কাঠামো তোলার জন্য আগামী বছর থেকে ব্যবস্থা করা হবে আরও বেশি সংখ্যক ভাসান কুলির। এমনটাই জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগামী বছর থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বেশি করে ভাসান কুলি নেওয়া হবে। তাঁরাই প্রতিমার কাঠামো দ্রুত জল থেকে পাড়ে তুলে দেবেন। সেখান থেকে পুরসভার কর্মীরা প্রতিমার কাঠামো তুলে নেবেন।’’ এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি যোগ করেন, ‘‘যে কাঠামো পুজো করা হল, সেই কাঠামো যে ভাবে তুলে ফেলা হয়, তা অনেকের আবেগে দুঃখ দেয়। এ ছাড়া ক্রেনে করে তুলতে যে সময় লাগে, তার অনেক আগেই ভাসান কুলিরা এই প্রতিমা তুলে নিতে পারবেন। তাই গঙ্গার জলের দূষণ ও দৃশ্যদূষণ রুখতে এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।’’

Advertisement

বিসর্জনের দায়িত্বে থাকা কলকাতার পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্রেনে করে বিসর্জনের পরে প্রতিমা তুলে ফেলার সময় যে দৃশ্যদূষণ হয়, তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চাইছে পুরসভা। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। বিজয়া দশমীর পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও কলকাতা পুরসভার তত্ত্বাবধানে ১৬টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হচ্ছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে ফুল, মালা এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গার ঘাটের পুরসভার তৈরি করে দেওয়া একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হচ্ছে। এই কারণে কলকাতা পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পুলিশ এবং পরিকাঠামো রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। শহরের ভিতরে যে জলাশয়গুলি রয়েছে, সেখানে যাতে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা।বুধবার বাড়ির প্রতিমার সঙ্গে বহু বারোয়ারি পুজোর প্রতিমাও নিরঞ্জন হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র। শনিবার বিসর্জনের শেষ দিন। শুক্রবার কলকাতায় এক দিকে যেমন দুর্গা প্রতিমা নিয়ে কার্নিভাল চলবে, তেমনই চলবে প্রতিমা বিসর্জন পর্বও। কারণ আগামী রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো রয়েছে। সেই পুজোর প্রস্তুতির জন্য দুর্গা প্রতিমা ভাসানের শেষ দিন স্থির করেছে প্রশাসন।

অন্য দিকে, বুধবার কলকাতা পুরসভার একটি পে-লোডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাল বেয়ে ঘাটের নীচ অবধি নেমে আসে। সেই গাড়ির ধাক্কায় আহত হন এক ব্যক্তি। বাকিরাও অল্পবিস্তর চোট পান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাই বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এবং আগের দিনের তুলনায় পুরকর্মীদের বিশেষ ভাবে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন