প্রতীকী ছবি
বিনামূল্যে রেশনের মেয়াদবৃদ্ধির জোড়া ঘোষণার পরই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গেল। কেন্দ্রের ঘোষণা নিয়ে তৃণমূল ও রাজ্যের ঘোষণা নিয়ে বিজেপি পরস্পরকে কটাক্ষ করেছে। আর তাদের দুই পক্ষের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস এবং বামেরা।
মঙ্গলবার বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের মেয়াদ নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প আরও এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্র ও রাজ্যের এই জোড়া ঘোষণা নিয়ে পরস্পরকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে অনুকরণ করে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু জুন মাস পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন কি না তারই তো ঠিক নেই।’’ জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিক্রম। সংকটের সময়ে একজন মানুষকেও অভুক্ত রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতেও তা রাখবেন না। দিলীপবাবুদের হিংসার রাজনীতি নয়, বাংলার মানুষের হৃদয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামই লেখা আছে। বিজেপি তা বুঝতে পারছেন না।’’
এ নিয়ে অবশ্য দুই সরকারকে বিঁধেছে কংগ্রেস ও বামেরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের অভিযোগ, ‘‘ঘোষণার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের বড়, মেজ, ছোট, নেতারা সরকারি টাকা লুঠ করছে। ভাষণে পেট ভরে না, মাথার ছাদ হয় না।’’ সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘সংকটের সময় খাদ্য সুরক্ষা আইনে খাদ্যের নিরাপত্তা মানুষের অধিকার। দুই সরকার এমন ভাব করছে যে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। বিহার বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে মোদী আর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে আছেন মমতা।’’
রাজ্যে রেশন নিয়ে ওঠা অভিযোগের জবাবে ঘুরিয়ে বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কোথাও কোথাও রেশন নিয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যের সব মানুষের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছেছে।’’