বাসুদেব আচারিয়া —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা বাঁকুড়ার ন’বারের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। সোমবার দুপুরে তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ মারা গিয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই সিপিএম নেতা। বাসুদেবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৪২ সালের ১১ জুলাই পুরুলিয়ায় জন্ম হয়েছিল বাসুদেবের। সেখানেই পড়াশোনা। ছাত্র বয়সেই বাম আন্দোলনে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আদিবাসীদের নানা ধরনের আন্দোলন এবং স্বাক্ষরতা অভিযানে পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন বাসুদেব। তার পর ২০১৪ পর্যন্ত সেখানকার সাংসদ ছিলেন তিনি। রেলের শ্রমিক আন্দোলনেরও অন্যতম নেতা ছিলেন বাসুদেব। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী মুনমুন সেনের কাছে হেরে যান।
দীর্ঘ দিন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন বাসুদেব। ১৯৮০ সালের ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিমান বসুকে। কিন্তু তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্তকে বিমান জানান, তিনি সংগঠনেই থাকতে চান। ভোটে দাঁড়াবেন না। সেই সময়ে বিমানকেই ভার দেওয়া হয়েছিল বাঁকুড়ার জন্য প্রার্থী খোঁজার। সিপিএমের অনেক নেতা ঘরোয়া আলোচনায় বলেন, বাসুদেব আচারিয়া আসলে বিমান বসুরই ‘আবিষ্কার’।
সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, বাসুদেবের এক কন্যা বিদেশে থাকেন। তাঁর সেকেন্দ্রাবাদে পৌঁছতে মঙ্গলবার হয়ে যাবে। তার পর প্রয়াত নেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।