Clash

নৈহাটিতে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, জখম চার পুলিশকর্মী, ধৃত ১

কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাছে টালিখোলায় পুলিশের নাকা চলছিল। সেই সময় দুই বাইকআরোহী রতিকান্ত দাস ও তাপস দাস গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের থামতে বললেও তারা সেই কথা শোনেনি। উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মোটরবাইকটির ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে দুই আরোহী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২১:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। জনতার রোষে ভাঙল পুলিশের গাড়ি। ঘটনাটি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের রামচন্দ্রপুরে। ঘটনায় জখম হয়েছেন চার পুলিশকর্মী।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্ত্রী-কন্যাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ

পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল বুধবার, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাছে টালিখোলায় পুলিশের নাকা চলছিল। সেই সময় দুই বাইকআরোহী রতিকান্ত দাস ও তাপস দাস গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের থামতে বললেও তারা সেই কথা শোনেনি। উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মোটরবাইকটির ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে দুই আরোহী। তাদের প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতায় ন্যাশনাল মেডিকাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের রামচন্দ্রপুরে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। নৈহাটি থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। জনতার হাতে নিগৃহীত হন এক এসআই-সহ চার পুলিশ কর্মী। পুলিশ এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত তল্লশি চালিয়ে সুকুমার দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পরিবারকে হারানো টাকা-পাসপোর্ট খুঁজে দিল পুলিশ

অবরোধকারীদের অভিযোগ, পুজোর আগে প্রতিবারই নাকা করার নামে পুলিশ তোলা আদায় করে। গাড়ির কাগজপত্র থাকা সত্বেও নানা ছুতোনাতায় ফাইন করে পুলিশ। বুধবারও তেমনই হয়েছিল। কিন্তু ওই দুই যুবক ফাইন দিতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাঁদের ভয় দেখাতে তাড়া করতে গেলে দুর্ঘটনা হয়। প্রসঙ্গত, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরবাইক দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটনা। পুলিশের নাকাও চলে বছরভর, কখনও বেশি কখনও কম। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘এগুলো বিজেপির কারসাজি। পুলিশ পুলিশের কাজ করছিল। সেখানে ঘটনার পরদিন হঠাৎ বিজেপি কিছু লোক জড়ো করে প্রচারের আলোয় আসতে অবরোধ ও পুলিশের উপর হামলা চালালো।’’ স্থানীয় বিজেপি নেত্রী ফাল্গুণী পাত্র বলেন, ‘‘এই অভিযোগ অসত্য। এই ঘটনায় বিজেপির কোনও সংযোগ নেই।’’

বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরেই রামচন্দ্রপুরে যান ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। বিশাল বাহিনী পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। যান চলাচলও স্বাভাবিক করা হয় এক্সপ্রেসওয়েতে। ব্যারাকপুরের ডিসি ১ কে কান্নান বলেন, ‘‘পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করায় নির্দিষ্ট মামলা হয়েছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ অবরোধকারীরা করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন