Vishwa Bharti

বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছিলেন, শো-কজ মানস মাইতিকে

গত ৮ জুন বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২১ ১৪:২৭
Share:

ফাইল চিত্র

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতি। তাঁকেই শো-কজ করল বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার এই মর্মে ওই অধ্যাপককে একটি চিঠি পাঠায় কর্তৃপক্ষ। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা বলা হলেও, রবিবারই ই-মেলে জবাব দিলেন অধ্যাপক মানস মাইতিও।

Advertisement

গত ৮ জুন বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিলেন উপাচার্য। মানসের অভিযোগ, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁকে অপমান করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার মানহানি ও অপমান করার অভিযোগ তুলে বোলপুর থানায় মামলা দায়ের করেন মানস। সেই মামলা হওয়ার পরের দিনই, অর্থাৎ শনিবার তাঁকে শো-কজ করে চিঠি ধরান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মানস ওই আলোচনার অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিশেষত উপাচার্যকে অসংসদীয় কথা বলেন। একজন শিক্ষকের থেকে এই ব্যবহার কাম্য নয়। এ ছাড়া তিনি যে অভিযোগ করছেন তা একেবারেই সত্য নয়। এই দাবি করে মানসের থেকে জবাব চান কর্তৃপক্ষ।

কার্যনির্বাহী রেজিস্ট্রারের সেই চিঠির উত্তরে রবিবার অধ্যাপক ই-মেলে জানিয়েছেন, ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে। কিন্তু শো-কজে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে। তা ছাড়া, তাঁকে ওই বৈঠক থেকে বার করে দেওয়া হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তার রেকর্ডও আছে। যদিও এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি মানস।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন