State News

বনধ ডাকার জন্য জিটিএ’র কাছে এ বার ক্ষতিপূরণ চাইল রাজ্য

পাহাড়ে সাম্প্রতিক অশান্তির পর বিমল গুরুঙ্গ আর তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে আরও কোণঠাসা করতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। মূলত সেই লক্ষ্যেই বিমল গুরুঙ্গের বাড়ি ও অফিসে চালানো হয়েছে তল্লাশি। বরাদ্দ অর্থ জিটিএ কতটা খরচ করছে বা ঠিক ভাবে খরচ করছে কি না, তার হিসেব নিতে একটি বিশেষ অডিট টিমকে পাহাড়ে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭ ১৬:৪৩
Share:

বনধে অচল পাহাড়।- ছবি: পিটিআই।

পাহাড়ে ডাকা বনধে ভাঙচুর ও নানা ধরনের হিংসাত্মক ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) কাছে ৫৯ কোটি টাকা চাইল রাজ্য সরকার। নবান্নের শীর্ষ মহল সূত্রে শুক্রবার এই খবর পাওয়া গিয়েছে। ২০১৪ সালে পাহাড়ে ওই বনধ ডেকেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই বনধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ সহ নানা রকমের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে সাম্প্রতিক অশান্তির জেরেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ বলে অনেকের ধারণা। ও দিকে, রাজ্যে বনধ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ২০১৩ সালে যে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তা কার্যকর করার ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। পাহাড়ে গত ৯ জুন থেকে ডাকা বনধে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, রাজ্য সরকারকে তাও সবিস্তার জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, পাহাড়ে সাম্প্রতিক অশান্তির পর বিমল গুরুঙ্গ আর তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে আরও কোণঠাসা করতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। মূলত সেই লক্ষ্যেই বিমল গুরুঙ্গের বাড়ি ও অফিসে চালানো হয়েছে তল্লাশি। বরাদ্দ অর্থ জিটিএ কতটা খরচ করছে বা ঠিক ভাবে খরচ করছে কি না, তার হিসেব নিতে একটি বিশেষ অডিট টিমকে পাহাড়ে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: সনিয়া-রাজনাথ-বেঙ্কাইয়া বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র

Advertisement

২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র তাঁর রায়ে রাজ্যে বনধ নিষিদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন। এ দিন সেই রায়ের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীকে নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আদালতের পুরনো আদেশ কার্যকর করার ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement