মার্কশিট আটকাল স্কুল, অভিযোগ

অভিভাবকদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, তাঁরা নিজের মেয়েদের একাদশ শ্রেণিতে পাশের বানবোল বয়েজ হাইস্কুলে (একাদশ-দ্বাদশে সহশিক্ষা) ভর্তি করাতে চান।

Advertisement

গৌর আচার্য

ইটাহার শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০২:৪১
Share:

মাধ্যমিক-উত্তীর্ণ ছাত্রীদের মার্কশিট আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইটাহারের বানবোল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, মঙ্গলবার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর ওইদিন ও বুধবার উত্তীর্ণ ছাত্রীরা মার্কশিট নিতে স্কুলে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দেন। এই পরিস্থিতিতে মার্কশিট না থাকায় তারা পছন্দের অন্য স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না।

Advertisement

অভিভাবকদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, তাঁরা নিজের মেয়েদের একাদশ শ্রেণিতে পাশের বানবোল বয়েজ হাইস্কুলে (একাদশ-দ্বাদশে সহশিক্ষা) ভর্তি করাতে চান। কিন্তু বানবোল গার্লস কর্তৃপক্ষ মেধাবী ছাত্রীরা স্কুল ছেড়ে চলে যাবে, এটা মানতে পারছেন না। তাই ছাত্রীদের আটকে রাখার জন্য মার্কশিট দিচ্ছেন না। এই অভিযোগ কার্যত মেনেই নিয়েছেন বানবোল গার্লসের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষিকা শিউলি দাস। তাঁর বক্তব্য, মাধ্যমিক পাশ করে স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্রী পাশের বানবোল বয়েজে ভর্তি হচ্ছে। এর ফলে পড়ুয়ার অভাবে তাঁর স্কুলের একাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে। তাঁর দাবি, তাঁর স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে না থাকলেও কলা বিভাগে পঠনপাঠনের ভাল পরিকাঠামোই রয়েছে। তাই, যারা অন্য স্কুলে বিজ্ঞান অন্য স্কুলে যেতে চায়, তাদেরকে মার্কশিট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানশিক্ষিকা আরও বলেন, ‘‘স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে পঠনপাঠন চালু রাখতে আগামী ২৭ মে সফল ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডাকা হয়েছে। ওইদিন স্কুলের তরফে অভিভাবকদের তাঁদের মেয়ে এই স্কুলেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করার অনুরোধ করা হবে। অভিভাবকেরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা তাঁদের ব্যাপার। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার পর সফল পরীক্ষার্থীদের হাতে মার্কশিট তুলে দেওয়া হবে।’’

এ ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুরের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশিস সরকার জানান, কোনও স্কুল পড়ুয়াদের মার্কশিট আটকে রেখে তাদের ওই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে না। এটা পড়ুয়া ও অভিভাবকদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অভিযোগ খতিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বানবোল বয়েজের সহকারী প্রধানশিক্ষক চন্দ্রনারায়ণ সাহার বক্তব্য, ‘‘অন্য কোনও স্কুলের পড়ুয়ারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে আমাদের স্কুলে ভর্তি হতে চাইলে সরকারি নিয়মে আমরা তাদের মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নিতে বাধ্য।’’ ইটাহারের দক্ষিণাল এলাকার বাসিন্দা রতন মোহান্তের দাবি, ‘‘আমার মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ ওকে মার্কশিট দেননি। ফলে মেয়ে পছন্দের হাইস্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। এটা তো ঠিক নয়। প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন