WBJEE RESULTS 2020

ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, জয়েন্টের ফার্স্ট বয়ের প্রথম পছন্দ বিজ্ঞান গবেষণা

কেউ চান বেসিক সায়েন্সে গবেষণা করতে, তো কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে চান। রাজ্যে জয়েন্টে স্থানাধিকারীরা জানালেন তাঁদের ইচ্ছার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ১৬:২২
Share:

রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী সৌরদীপ দাস।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম হলেও বেসিক সায়েন্সে গবেষণা করতে চান সৌরদীপ দাস। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধাতালিকায় জায়গা করেও সৌরদীপের লক্ষ্য আইআইএসসি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স)-এ ভর্তি হওয়া। আইআইএসসি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় তাঁর ফলও বেশ ভাল।

Advertisement

সৌরদীপের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। এ রাজ্যের বাসিন্দা হলেও, দেওঘরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করতেন তিনি। বাবা রাজ্য কৃষি বিভাগের আধিকারিক। ছেলের ইচ্ছাকেই গুরুত্ব দিতে চান তিনি। সৌরদীপ বলেন, “আমার অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যা ভাল লাগে। আইআইএসসি-তে ভর্তি হতে চাই। সেখানে সুযোগও পেয়েছি। ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চাই আমি।”

চতুর্থ হয়েছেন কলকাতার সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের ছাত্র উৎসব বসু। কম্পিউটার সায়েন্স এবং অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স তার পছন্দের বিষয়। কোন বিষয়টি বেছে নেবেন তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন উৎসব।

Advertisement

জয়েন্টে পঞ্চম পূর্ণেন্দু সেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। অপেক্ষা কাউন্সিলিংয়ের। বাঁকুড়ার বাসিন্দা পূর্ণেন্দু ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র। তিনি জানিয়েছেন, “মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে ভালই লাগছে। কম্পিউটার সায়েন্সে নিয়ে পড়তে চাই।”

রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের স্থানাধিকারী। বাঁ-দিক থেকে উৎসব বসু (চতুর্থ), পূর্ণেন্দু সেন (পঞ্চম) ও অঙ্কুর ভৌমিক (ষষ্ঠ)।

মেধাতালিকা ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন অঙ্কুর ভৌমিক। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং না, অন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন, তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি অঙ্কুর। ফোনে যোগাযোগ করা হলে অঙ্কুর বলেন, “আইআইএসি-তে রসায়ন নিয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে। আইআইটি-তে যদি ভাল র‌্যাঙ্ক হয়, তা হলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেও পারি।”

আরও পড়ুন: প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল, প্রথম রায়গঞ্জের সৌরদীপ

বেহালার ইউনিক পার্কের বাসিন্দা অরিত্র মিত্র আর্য বিদ্যামন্দিরে ছাত্র জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অষ্টম স্থানাধিকারী। তাঁর কথায়, “ভালই লাগছে। পড়াশোনার প্রতি যত্ন নিলে আর পরিকল্পনামাফিক এগোলে সবাই সাফল্য পাবেন।” সৌরদীপের মত অঙ্ক ভাল লাগত তাঁর। তবে রসায়নের বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে। কোচিং ক্লাস থেকেও অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে অরিত্র। অরিত্র বলেন, “কোথায় ভুল হয়েছে, তা ধরিয়ে দিত কোচিং ক্লাসে। স্কুলের থেকে সাহায্য পেয়েছি। লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়তে পেরেছি। আমি ভাবতেই পারিনি এত ভাল ফল করব।”

আরও পড়ুন: রাজ্যে ডাক্তার, নার্স পদে এ বার সরাসরি নিয়োগ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন