জঙ্গি সংগঠন ঘনিষ্ঠ বাকিকে জেরা করতে আসছে এনআইএ

পাকিস্তানে অস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং জঙ্গি সংগঠন ঘনিষ্ঠ আব্দুল বাকিবিল্লা মণ্ডলকে জেরা করতে আসছে এনআইএ-র প্রতিনিধি দল।সোমবার দুপুরে বাকি বিল্লাকে বারাসত আদালতে তোলা হলে ষষ্ঠ অতিরিক্ত ও জেলা দায়েরা বিচারক অনির্বাণ দাস ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৯
Share:

আদালত থেকে বেরোনোর সময়। —নিজস্ব চিত্র।

পাকিস্তানে অস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং জঙ্গি সংগঠন ঘনিষ্ঠ আব্দুল বাকিবিল্লা মণ্ডলকে জেরা করতে আসছে এনআইএ-র প্রতিনিধি দল।

Advertisement

সোমবার দুপুরে বাকি বিল্লাকে বারাসত আদালতে তোলা হলে ষষ্ঠ অতিরিক্ত ও জেলা দায়েরা বিচারক অনির্বাণ দাস ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান, পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু বাকিবিল্লার আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। সে কারণে তাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিন আদালত চত্বরে অভিযুক্তকে দেখতে ভিড় জমে যায়।

শনিবার গভীর রাতে বসিরহাটের মাটিয়া এলাকা থেকে মাদক-সহ বাকিবিল্লাকে ধরা হয়। এর আগে অযোধ্যা বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লি স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবার জঙ্গিদের চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ঢোকানোর অভিযোগেও সে ধরা পড়েছিল।

Advertisement

ধৃতের বাড়ি বসিরহাটের সীমান্তবর্তী ইটিন্ডার গাছা গ্রামে। আগে মাটির বাড়িতে থাকত বাকিবিল্লা। এখন সেখানেই একতলা বড় বাড়ি করা হয়েছে। এ দিন ওই গ্রামে গেলে বাকিবিল্লার বাবা মহসিন মণ্ডল বলেন, ‘‘বাকি মেজ ছেলে। একটা সময়ে ছোটখাটো অন্যায় করলেও গত কয়েক বছর ধরে সৎ পথে সংসার চালানোর চেষ্টা করছিল।’’ বড় ছেলে কর্মসূত্রে পাকিস্তানে থাকে বলে বাকিবিল্লা তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল বলে দাবি মহসিনের।

গোয়েন্দাদের দাবি, পাকিস্তান থেকে সে আফগানিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। এরপরেই অযোধ্যায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে এ দেশে এনে বাড়িতে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় একাধিক খুন, ডাকাতি এবং মাদক পাচারের সঙ্গেও সে যুক্ত। ২০০৫ সালে প্রথম জানা যায়, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ঘনিষ্ঠ বাকিবিল্লা। এরপরেই গ্রেফতার হয় সে।

এ দিন বাড়ির সামনে গ্রামের মানুষ ভিড় করেন। বাকিবিল্লা কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত, তা অনেকেই মানতে নারাজ। এমনকী, তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মাদক পাচারের মামলা দেওয়া হয়েছে বলেও গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি।

ধুর পাচারকারী ধৃত। সন্দেহজনক দু’জন বাংলাদেশি ধুর পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্বরূপনগরের দত্তপাড়ায় বাড়ি ধৃতদের নাম আব্দুল সামাদ মোল্লা এবং নুর ইসলাম মোল্লা। রবিবার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। সোমবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন