নবপত্রিকা স্নান। —নিজস্ব চিত্র।
ভোর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নবপত্রিকা স্নান। আর এই নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়ে গেল সপ্তমীর দেবী বন্দনা। তার উপর বাড়তি পাওনা রোদ ঝলমলে আকাশ।
পুজোর আগে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে মন কিছুটা ভারী হলেও শনিবার থেকে আকাশ জানান দিতে শুরু করে নিম্নচাপের বিদায়বার্তা। গতকালও আকাশ পরিষ্কার ছিল। আর মঙ্গলবার সকাল থেকেও আকাশ রোদ ঝলমলে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কোনওরকম বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাও তুলনামূলক কম থাকবে। ভোরের দিকে হালকা ঠাণ্ডা ভাবও থাকতে পারে। এই সপ্তাহ জুড়েই আবহাওয়া এরকম থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: সে দিনের সেই ক্ষত সরিয়ে স্বামী-সন্তানহারা নবনীতা ফিরবেনই
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশপ্রসাদ দাস বলেন, ‘‘পুজোর এই ক’দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আকাশ পরিষ্কার থাকবে।’’
শহর কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ ষষ্ঠীতে উপচে পড়েছে ভিড়। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় সামাল দিতে নাকাল হতে হয়েছে পুলিশকে। উত্তরে হাওয়ার সঙ্গে রীতিমতো তাল মিলিয়ে চলেছে দখিনা বাতাসও। উত্তরে শ্রীভূমি থেকে জনজোয়ার উল্টোডাঙা হয়ে আছ়়ড়ে পড়ছে হাতিবাগানে। পায়ে পায়ে সেই ভি়ড় এগিয়ে এক দিকে আহিরিটোলা, অন্য দিকে কলেজ স্কোয়ার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দিকে। অন্য দিকে দক্ষিণে সুরুচি সঙ্ঘ, চেতলা অগ্রণী, হিন্দুস্থান পার্ক, বালিগঞ্জ কালচারাল, ত্রিধারা, শিবমন্দিরের মতো তারকা তো ছিলই। এ বার চমকের তালিকায় উঠে এসেছে ভবানীপুর অবসর, পাটুলি সর্বজনীনও।
শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলার মণ্ডপের চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়। সপ্তমীতে ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তরা।