অকালবর্ষণের জেরে এমনিতেই মাথায় হাত দেশের মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের। অনেকে ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে না-পেরে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের জন্য আরও খারাপ বার্তা নিয়ে এল ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। তারা জানিয়েছে, গত বছরের মতো এ বারেও বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের থেকে কম। উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতেই অল্প বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়বে বেশি।
দক্ষিণ আমেরিকার সমুদ্র উপকূলের গরম বাতাসের জেরে তৈরি হওয়া ‘এল নিনো’র প্রভাবের জেরেই বৃষ্টিপাতে কোপ পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। এল নিনোর দাপটে গত ১৪ বছরে মোট আট বার স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বার ফের সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকৃতিবিজ্ঞান মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মন্ত্রিসভার সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে পূর্বাভাসের কথা জানানো হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যায়।
পূর্বাভাসটা ঠিক কী?
মন্ত্রী জানান, এ বছর বৃষ্টিপাত হবে দীর্ঘমেয়াদি গড়ের ৯৩ শতাংশ। আবহবিদদের হিসেবে যা স্বাভাবিকের থেকে কম। সেই হিসেব অনুযায়ী বৃষ্টিপাত দীর্ঘমেয়াদি গড়ের থেকে ৯০ শতাংশের কম হলে তাকে বলে ‘ঘাটতি-বর্ষণ’, ৯০ থেকে ৯৬ শতাংশ হলে ‘স্বাভাবিকের থেকে কম’, ৯৬ থেকে ১০৪ হলে ‘স্বাভাবিক’ আর তার বেশি হলে ‘অতিবর্ষণ’। গত বছর দীর্ঘমেয়াদি গড়ের ৮৮ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
হর্ষ বর্ধন এ দিন বলেন, ‘‘স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ।’’ ঘাটতি-বর্ষণ বা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ বলে জানান তিনি।