মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাট নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত বাড়ছেই। বিমান মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ‘আদালত অবমাননা’-র অভিযোগ এনেছে রাজ্য। আর নিম্ন আদালতে তাদের আর্জি খারিজ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। সূত্রের খবর, মূল বিরোধ এখন পাইলটদের সঙ্গে এটিসি-র কথোপকথনের ‘টেপ’ নিয়ে। রাজ্য ওই টেপ পেতে চাইলেও তা দিতে নারাজ বিমান মন্ত্রক।
গত ৩০ নভেম্বর ইন্ডিগোর বিমানে পটনা থেকে কলকাতায় আসছিলেন মমতা। বিমান ৩০ মিনিট দেরিতে নামায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ইচ্ছা করে’ দেরির অভিযোগ ওঠে। মামলা শুরু করে রাজ্য পুলিশ। সংসদে হইচই করেন দলীয় সাংসদরাও। যার তদন্তে নেমে ডিজিসিএ জেরা করে ইন্ডিগো ও অন্য একটি বিমানের দুই পাইলটকে। জেরার মুখে পড়েন সেই এটিসি অফিসারও, যাঁর সঙ্গে সে রাতে পাইলটদের কথা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত যে টেপ এটিসি-তে ছিল, তা হেফাজতে নেয় ডিজিসিএ। মন্ত্রককে জানায়, ইন্ডিগোর পাইলট সে দিন ‘লো ফুয়েল’ বলে বার্তা পাঠালেও বিমানে তখন যথেষ্ট জ্বালানি ছিল।
রাজ্যের তদন্তেও পাইলট, এটিসি অফিসারকে ডাকা হয়। ওই কথোপকথনের টেপ চায় পুলিশ। তা নিয়েই বিপত্তি। ডিজিসিএ দাবি করে, ২০১২-র এয়ারক্র্যাফ্ট রুল অনুযায়ী, এই সিডি কাউকে দেওয়া যায় না। তবে বিমানবন্দর সূত্রের দাবি, গত ৩০ ডিসেম্বর রাজ্য পুলিশের অফিসারদের ডেকে ওই টেপ শোনানো হয়েছিল।
টেপ হাতে পেতে জানুয়ারিতে ব্যারাকপুর কোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। আদালত ওই টেপ পুলিশকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় ডিজিসিএ। তা খারিজ করে ওই নিম্ন আদালত। এর পরে ডিজিসিএ-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ জমা পড়ে। আজ, মঙ্গলবার এ নিয়ে শুনানি রয়েছে সেখানে। এ দিকে, নিম্ন আদালতে তাদের আর্জি নাকচ হওয়ায় হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিসিএ। দিল্লি থেকে বিমান মন্ত্রকের এক কর্তা এ দিন জানান, কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ এসেছে সেখান থেকেই।