বদলাতে পারে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব

রাজ্য বিজেপি-তে সাংগঠনিক নির্বাচন হতে চলেছে নভেম্বরে। সেই নির্বাচনে দলের সর্ব স্তরেই নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি পদেও পরিবর্তন হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই। রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন পর্যবেক্ষক এবং অধুনা সহ পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, কোনও রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন হলে সেখানে সাংগঠনিক নির্বাচন স্থগিত রাখাই তাঁদের দলের রেওয়াজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৫ ০৩:২০
Share:

রাজ্য বিজেপি-তে সাংগঠনিক নির্বাচন হতে চলেছে নভেম্বরে। সেই নির্বাচনে দলের সর্ব স্তরেই নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি পদেও পরিবর্তন হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই।

Advertisement

রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন পর্যবেক্ষক এবং অধুনা সহ পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, কোনও রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন হলে সেখানে সাংগঠনিক নির্বাচন স্থগিত রাখাই তাঁদের দলের রেওয়াজ। সেই অনুযায়ী, এ রাজ্যেও ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক নির্বাচন হবে না। কিন্তু এ নিয়ে বিজেপি-র অন্দরে দড়ি টানাটানি অব্যাহত ছিল। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ, বিশেষত আরএসএস ঘনিষ্ঠ শিবির বরাবরই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। ২০১৬-র আগে নেতৃত্ব বদল স্থগিত থাকতে পারে বুঝে তাঁরা সক্রিয়তা বাড়ান। সঙ্ঘ সূত্রের খবর, তাদের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, রাজ্য সভাপতি অপরিবর্তিত রেখে বিধানসভা ভোটে যাওয়া হলে তারা নির্বাচনের কাজ করবে না। পাশাপাশি, নির্মলা সীতারামন, শিবপ্রকাশ এবং রামলাল রাজ্যের সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছেন। তাঁদের কাছেও রাহুলবাবু এবং তাঁর শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। এই সবের যোগফলেই শেষ পর্যন্ত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সাংগঠনিক নির্বাচনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। রাজ্য সভাপতি পদে রাহুলবাবুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেপ্টেম্বরে। তার পরেই সাংগঠনিক নির্বাচন হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বস্তুত, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে সাংগঠনিক নির্বাচনের সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন এখন মহাসম্পর্ক অভিযানে নেমেছেন সঙ্ঘ কর্মীরা।

রাজ্য সভাপতি পদে সঙ্ঘের পছন্দ এক চিকিৎসক নেতা। তবে রাহুলবাবুর শিবিরও ঘুঁটি সাজাচ্ছে। বিনা যুদ্ধে ময়দান ছেড়ে না দিয়ে নিজেদের পছন্দের কাউকে ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে পারে তারা। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘সাংগঠনিক নির্বাচন হয়ে গেলে নভেম্বর থেকে বিজেপি-কে আন্দোলনের ময়দানে দেখা যাবে। সারদা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদি নানা বিষয়ে আন্দোলন করে হইচই ফেলে দেওয়া হবে।’’ বিজেপি-র এক সূত্রের ব্যাখ্যা, ওই সময়ে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে দল ভাল ফল করবে বলে আশাবাদী। তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে। কেন্দ্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকেই বিধানসভার প্রচারে নামানো হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন