প্রতীকী ছবি।
শুধু তৃণমূল সরকারের বিরোধিতাই নয়, অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়েও এই রাজ্যের মানুষকে ‘আশ্বস্ত’ করতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। কলকাতার মেয়ো রোডে আজ, শনিবার কর্মসংস্থানের দাবিতে বিজেপির সর্বভারতীয় ‘যুব সমাবেশ’। সেখানেই যাতে শাহ এনআরসি-কাণ্ড নিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন, তার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
কারণ তাঁদের মতে, এনআরসি-র পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির গায়ে ‘বাঙালি বিরোধী’ তকমা লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল এবং তার মোকাবিলা খুব সহজ নয়। তাই শাহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে এখানে বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট হবে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এনআরসি তৈরির পর অমিত শাহের বক্তব্য জানার জন্য মানুষের কৌতূহল রয়েছে।’’
রাজ্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আগেই দলের অন্দরে জানিয়েছিলেন, অ-মুসলিম উদ্বাস্তুরা ‘শরণার্থী’। তাঁদের কোনও ‘বিপদ’ হবে না। আজকের সভায় শাহ এই প্রসঙ্গটিই ভাল করে ব্যাখ্যা করুন, চাইছে রাজ্য বিজেপি। যদিও তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘বিজেপি যত ব্যাখ্যাই দিক, তা কাজে আসবে না। কারণ, অসমের নাগরিক পঞ্জিতে যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অসংখ্য অ-মুসলিম বাঙালি আছেন। তার উপর বিজেপি হুমকি দিয়েছে, এ রাজ্যেও নাগরিক পঞ্জি হবে।’’
এনআরসি ছাড়াও শাহের বক্তৃতার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের তরফে আরও যে সাতটি বিষয় পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, শিল্পের করুণ দশা, কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নারী নিরাপত্তার অভাব, সিন্ডিকেট এবং শাসক দলের দুর্নীতি।