—ফাইল চিত্র।
সিবিআই অভিযান নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের উত্তাপ ছড়াল বিধানসভাতেও। সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেট বক্তৃতার আগাগোড়াবিক্ষোভ দেখালেনবাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা। স্লোগান উঠল ‘চোর চোর।’ তবে অধিবেশনকক্ষে উপস্থিত থাকলেও তৃণমূল-বিরোধী এই বিক্ষোভ থেকে দূরেই ছিলেন বিজেপির বিধায়কেরা।
এদিন অধিবেশনের শুরুতে প্রথম ‘খোঁচা’ দিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারে বসা মাত্রই তিনি হাত তুলে বলতে শুরু করেন, ‘‘মেট্রো চ্যানেলে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে আপনিই আইন পাশ করেছেন। সেই আইন ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসেছেন। তাঁকে কি গ্রেফতার করা হবে?’’তাতে আমল না দিয়ে নির্ধারিত সূচি মতো অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা শুরু করলে বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে ‘ওয়েল’-এ নেমে পড়েন। ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে আঙুল তুলে কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা বলতে থাকেন ‘চোর, চোর।’বাজেট বক্তৃতা শুরুর কিছুটা পরে এসে পৌঁছন বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। তিনি অবশ্য এই বিক্ষোভে অংশ নেননি। বরং অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনেছেন শেষপর্যন্ত।
পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে স্পিকারের বিক্ষোভও শুরু করেন তাঁরা। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে তাঁরা নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন।মিনিট দশ এভাবে চলার পরই ওয়েলে রাখা একটি টেবিলে উঠে স্লোগান আর বক্তৃতা শুরু করেন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী।বিরোধীদের এই স্লোগানের ‘জবাব’ দিতে শুরু করেন শাসক দলের মন্ত্রী, বিধায়কেরাও। দু’পক্ষের চিৎকারে বার দুই থমকে যান অর্থমন্ত্রীও। তবে বাজেট বক্তৃতা চালিয়ে যেতে দলীয় বিধায়কদের সামাল দিতে নেমে পড়েন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তাপস রায়, মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষেরা। তারপর শাসকদল বসে পড়লেও অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চালিয়ে যায় বাম ও কংগ্রেস। বক্তৃতা শেষে বাজেট বই ছিঁড়ে সভাকক্ষ ছেড়ে যান তাঁরা।