শুক্রবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আগামী ২৪ জুন রাজ্য বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আপাতত ঠিক হয়েছে, ৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই অধিবেশন। বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে বৃহস্পতিবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ছিল কার্যউপদেষ্টা কমিটির সর্বদলীয় বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত দলের নব-নির্বাচিত বিধায়ক।
বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিজেপির কোনও বিধায়কই সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা খড়্গপুরের বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। এ দিনের বৈঠকে স্পিকারকে দিলীপবাবু জানান, শুক্রবার থেকে শিলিগুড়িতে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। পূর্বঘোষিত ওই কর্মসূচি অনুযায়ী দিলীপবাবু-সহ দলের আরও দুই নব-নির্বাচিত বিধায়ক স্বাধীন সরকার ও মনোজ টিগ্গা শিলিগুড়িতে থাকবেন। তাই শুক্রবারের বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না তাঁরা। পরে এই বৈঠকে বিজেপি বিধায়কেরা আলাদা কক্ষের দাবি জানালে বিমানবাবু বলেন, আগের বারের বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের ঘরটি তাঁদের জন্য রয়েছে। কিন্তু এর উত্তরে দিলীপবাবু জানান, এ বার বিধায়কের সংখ্যা বাড়ায় ঘরের সংখ্যা বাড়ানোর দরকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে নিরাপত্তা, নতুন নিয়ম নবান্নে
অন্য দিকে, অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করেছে কংগ্রেস-বাম জোট। স্পিকার জানান, সেটা আলোচনাসাপেক্ষ বিষয়। তবে তেমন হলে বেলা ১০টা থেকে শুরু করা যেতে পারে অধিবেশন। বিধানসভা সূত্রে খবর, বিরোধীদের এই সব দাবি মানতে স্বাভাবিক ভাবেই নারাজ শাসক দল। অধিবেশনে অন্তত একটা দিন দ্রব্যমূল্য নিয়ে আলোচনার জন্য রাখা উচিত বলে দাবি তুলেছে কংগ্রস।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানান, স্পিকারের আচরণ যথেষ্ট সন্তোষজনক। কিন্তু কোনও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখাচ্ছে না শাসক দল। তাঁর অভিযোগ, এই সরকার জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করার মানসিকতা নিয়ে চলছে। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্টের নবনির্বাচিত বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষের ক্ষোভ, দাবি অধিবেশনে আলোচনা হওয়া দরকার। এটা শাসকদলের সদস্যদের বোঝা উচিত।’’