গুরুঙ্গের ইস্তফা, রাজ্য ভাবছে প্রশাসক নিয়ে

এমনিতে জিটিএ-র কার্যকাল প্রায় শেষ। এখন, নিয়ম মেনে জিটিএ-র ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু পাহাড়ের যা পরিস্থিতি, তাতে এখনই ভোট করা কঠিন। বরং জিটিএ-তে প্রশাসক বসানো যায় কি না, তাই নিয়েই ভাবনাচিন্তা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০৩:১২
Share:

গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। তাঁর পদত্যাগপত্র এসে পৌঁছলে এ দিন তা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। তার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নবান্নে।

Advertisement

নবান্ন সূত্রের খবর, এর মধ্যেই মোর্চা নেতার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে তা রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এমনিতে জিটিএ-র কার্যকাল প্রায় শেষ। এখন, নিয়ম মেনে জিটিএ-র ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু পাহাড়ের যা পরিস্থিতি, তাতে এখনই ভোট করা কঠিন। বরং জিটিএ-তে প্রশাসক বসানো যায় কি না, তাই নিয়েই ভাবনাচিন্তা চলছে।

কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রশাসক বসানো নিয়ে জিটিএ আইনে কী বলা আছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় সরকার। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘প্রশাসক বসাতে গেলে জিটিএ আইনের কোনও সংশোধন করতে হবে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে প্রশাসক বসানো ছাড়া এখন অন্য কোনও রাস্তা খোলা নেই।’’

Advertisement

মোর্চা নেতারাও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। কারণ, দেরিতে হলেও প্রশাসক নিয়োগ হলে জিটিএ-র মাধ্যমে পাহাড়ে উন্নয়নের কাজে গতি আনার চেষ্টা করতে পারে রাজ্য। তাই মোর্চার সহকারী সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গের দাবি, চেয়ারম্যান-সহ সব সদস্য ইস্তফা দেওয়ার পরে জিটিএ অকেজো হয়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement