নানান কৃৎকৌশল সত্ত্বেও শংসাপত্র ও মার্কশিট জাল করার প্রবণতা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। তাই এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ডিজিটাল মার্কশিট দেওয়ার পথে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। রবিবার নজরুল মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, জাল করার পথ বন্ধ করতে পড়ুয়াদের ডিজিটাল মার্কশিট দেওযার কথা ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা সংসদে আলোচনাও হয়েছে।
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের মার্কশিট জাল হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে। সেই বিষয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন উপাচার্য। তার পর থেকেই মার্কশিট জালিয়াতি কী ভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরে আলোচনা শুরু হয়। সেই আলোচনাতেই পড়ুয়াদের ডিজিটাল মার্কশিট দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে। তার ফলে আর কোনও ভাবেই মার্কশিট জাল করা যাবে না বলে ওই দফতরের এক কর্তার দাবি। এ দিন সেই প্রস্তাবের পক্ষে সওয়াল করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিজিটাল মার্কশিট বহু দিন পর্যন্ত সুরক্ষিতও রাখা যাবে।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, ডিজিটাল মার্কশিট চালু হলে বিকল্প মার্কশিট সংগ্রহে কোনও সমস্যাই থাকবে না। এখন বিকল্প মার্কশিট পেতে
অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। প্রথমে নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে আবেদন করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার পরে নতুন করে মার্কশিট ছাপানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লেগে যায়। সে-ক্ষেত্রে নম্বর ভুল হওয়া বা জালিয়াতির আশঙ্কাও তৈরি হয়। ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হলে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি করে কোড নম্বর দেওয়া হবে। বিকল্প মার্কশিটের জন্য আবেদন করলে সেই কোড নম্বর দাখিল করে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী সহজেই তা পেয়ে যাবেন।