কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু-মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের কেউ ছাড় পাবে না বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এক দফা শাস্তি ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে ওই ঘটনা নিয়ে বুধবার গড়া হল নতুন তদন্ত কমিটি।
মেডিক্যালে রেডিয়েন্ট ওয়ার্মারে পুড়ে দুই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় যে-ভাবে তদন্ত হয়েছে, তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন বলে অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তার সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ওই ঘটনায় শাস্তি দিতে গিয়ে জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে পক্ষপাত করা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
এই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি হাওড়ার আমতার এক সভায় মমতা জানান, অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের সাসপেন্ড করে সরকার ঠিকই করেছে। তদন্ত এখানেই থেমে থাকবে না। আরও বিস্তারিত ভাবে তদন্ত হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে আছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধোদন বটব্যাল, উপ-অধিকর্তা (নার্সিং) মাধবী দাস, এসএসকেএম হাসপাতালের নিওনেটোলজির প্রধান সুচন্দ্রা মুখোপাধ্যায়, উপ-অধিকর্তা (শিশু-স্বাস্থ্য) পাপড়ি নায়েক এবং যুগ্ম অধিকর্তা (মেডিক্যাল শিক্ষা) অরূপ মৈত্র। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের ক্ষোভ এবং একই দোষে সিনিয়রদের লঘু আর জুনিয়রদের গুরুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ যথার্থ ছিল? এবং এখন তাঁদের চাপের মুখেই কি সরকার আবার তদন্ত করাচ্ছে? রাজ্যের সব সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ-এর নজরদারির জন্য গঠিত কমিটির প্রধান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগের তদন্ত ঠিকই ছিল। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের অভিযোগ ছিল যে, তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই নতুন কমিটি গড়ে আবার তদন্তের ব্যবস্থা করা হল। ভালই হল।’’