—ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুরের পরে ঠাকুরনগর। তবে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পশ্চিমবঙ্গ সফরে ‘সহযোগিতা’র আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনায় মোদীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) অগ্রিম নিরাপত্তা পর্যালোচনায় বৈঠক ডেকেছিল। সেখানে এসপিজি-র আইজি পি সুরেশ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কর্তা, জেলা পুলিশকর্তারা ছিলেন। ছিলেন রাজ্য গোয়েন্দা বাহিনীর বিশেষ অফিসারও। তবে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য ওই বৈঠকে যাননি বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
বৈঠকে এসপিজি ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে মেদিনীপুরের সভার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়। সেখানে সভা-মণ্ডপ ভেঙে পড়ার পরেও কোনও সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে দেখা যায়নি। এ বার সেই পরিস্থিতি যাতে না-হয়, তা দেখার জন্য রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সতর্ক করে দেয় তারা।
‘ব্লু বুক’ মেনে এখনও কী কী করা হয়নি, রাজ্য পুলিশ তার তালিকা তুলে দেয় সভার আয়োজক মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিনিধির হাতে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর অসরকারি অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা করার কথা সংগঠকদের। নিরাপত্তা সংস্থা শুধু তদারক করে। সংগঠকদের তরফে আগামী দু’দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এসপিজি-র অফিসারদের সরকারি অতিথিশালায় থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অস্থায়ী হেলিপ্যাড গড়তে ঠাকুরনগরের চিকনপাড়া মৌজায় মূল্যবান গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা গাছ কাটার বিরুদ্ধে। গাছ কাটা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে ঠাকুরনগরে আসুন।’’ অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের আমন্ত্রণে ২ ফেব্রুয়ারি মতুয়াদের সভায় আসার কথা মোদীর। সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘হেলিপ্যাড তৈরির জন্য কোনও গাছ কাটা হয়নি। এলাকার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ভাল ভাবে দেখবেন বলে নিজেরাই কিছু গাছের ডাল ছেঁটে ফেলেছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ধর্মীয় সভায় প্রধানমন্ত্রীর আসা বানচাল করতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে।