ফাইল চিত্র।
কোষাগারের চাপ কমাতে সরকারি দফতরগুলিতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর নির্দেশ তো দেওয়াই হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, অন্য যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠান ও প্রশাসনিক বৈঠকের খরচেও রাশ টানার পক্ষপাতী নবান্ন।
কী ভাবে খরচ কমানো যাবে, তার রূপরেখা বানাতে চলতি সপ্তাহে প্রতিটি দফতরকে বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে সরকারের কতটা খরচ কমানো হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা এখনও ঠিক না হলেও যেখানেই খরচ কমানোর সুযোগ রয়েছে, সেখানেই ঝাঁক-জমক যতখানি সম্ভব কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আর সেই ভাবনায় দফতরগুলির খরচের উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছে নবান্ন। বাদ যাচ্ছে না জেলা বা রাজ্যভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠক ও সরকারি কর্মসূচিগুলিও।
প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, সব স্তরেই এই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সরকারি অর্থ খরচ করে অহেতুক জৌলুস প্রদর্শন বর্জন করতে হবে। ওই কর্তার কথায়, বৈঠকের জন্য পাঁচতারা হোটেল ভাড়া বা সরকারি কর্মসূচিতে এলাহি খাবারের ব্যবস্থা, সাজসজ্জা, দামি উপহার, দামি গাড়িতে সরকারি কাজে যাওয়া এগুলি বন্ধ করার চেষ্টা চালাতে হবে। খরচের বোঝা বাড়ার সঙ্গে বাম আমলে নেওয়া ঋণের টাকা সুদে-আসলে শোধ করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা সরকারের। তার উপরে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে অতিরিক্ত কয়েক হাজার কোটি টাকা সরকারের খরচ হবে। নবান্নের দাবি, তারা যে টাকা ঋণ নেয় তার ৩৫-৪০% টাকা উন্নয়ন খাতে খরচ হয়। অপ্রয়োজনীয় খরচ বাঁচালে আরও বেশি উন্নয়ন করা যাবে।