ভাঙড়ে যা হয়েছে তা হয়েছে। কিন্তু সেই আগুণ যাতে রাজ্যের অন্যত্র না ছড়ায় সে জন্য এ বার প্রচারে নামল রাজ্য সরকার। জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ যাতে নকশাল বা বহিরাগত কারও প্ররোচনায় কান না দেন মোবাইলের মাধ্যমে সেই বার্তা প্রচার শুরু করল নবান্ন।
বস্তুত পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পকে ঘিরে ভাঙড়ে আন্দোলন শুরু হতেই রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, গ্রামবাসীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ এগোনো হবে না। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, আপাতত যদি একটা ইটও আর না গাঁথা হয় তা হলেই আর নকশালরা সেখানে গ্রামীবাসীদের খেপিয়ে তুলতে পারবে না। দু’দিন বড়জোর সভা করবে। তার পর ওরাই হতোদ্যম হয়ে যাবে। ভাঙড় শান্ত রাখতে এখন সে পথেই হাঁটছে শাসক দল ও সরকার। কিন্তু একই সঙ্গে সরকার ও শাসক দলে এও আশঙ্কা রয়েছে যে, উন্নয়ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে রাজ্যের অন্যত্রও ভাঙড়-আগুণ ছড়ানোর ষড়যন্ত্র হতে পারে। সে জন্য শুক্রবার থেকে মোবাইল বার্তা পাঠানো শুরু হয় মানুষের কাছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়, প্রশাসন গ্রামবাসীদের সঙ্গে ও পাশে আছে। কোনও জমি সরকার জোর করে অধিগ্রহণ করবে না। গ্রামবাসী না চাইলে প্রজেক্ট হবে না। ওই বার্তায় এও বলা হয়েছে, ‘‘বহিরাগত মাওবাদী ও তাদের পরিচিত সুযোগসন্ধানী গুন্ডারা নিজেদের রোজগারের স্বার্থে গ্রামবাসীদের মধ্যে মিথ্যা প্রচার করছে।’’ গ্রামবাসীকে সতর্ক করতে সরকারের বার্তা, ‘‘ওরা অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে চলে যাবে। কিন্তু আপনাদের শান্তিতে এলাকায় থাকতে হবে। দয়া করে মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না।’’ বহিরাগতরা গ্রামে না ঢুকলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করতে সুবিধে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের বিশ্বাস।