আমির সোহেল
মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে তমলুকের তরুণ আমির সোহেলের মৃত্যুর পিছনে চিকিৎসার কোনও ত্রুটি-গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে স্বাস্থ্য দফতর। ওই দফতরের শীর্ষ কর্তারা সোমবার জানান, আমিরের পরিবার যদি থানায় অভিযোগ না-ও জানান, সে-ক্ষেত্রে তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন।
আমিরের পরিবারের লোকেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, তাঁরা শেষ দেখে ছাড়বেন। তবে সর্বাগ্রে হাসপাতাল থেকে আমিরের চিকিৎসার বিলটি সংগ্রহ করতে চান তাঁরা।
এ দিন তমলুকে আমিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাবা-মা শোকে পাথর। ১০ বছর আগে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন আমিরের দাদা। দুই সন্তানকে হারানো প্রৌঢ় দম্পতি কোনও কথাই বলতে পারছেন না। আমিরের দিদি পরভিন জানান, তাঁর ভাই আহত হওয়ার পরে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পরে ভাল চিকিৎসার জন্য কলকাতার ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ‘‘আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, আমির ভাল হয়ে যাবে। হাসপাতাল থেকে প্রতিদিনই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হতো। আত্মীয়দের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার খরচ জোগাতে চড়া সুদে দেড় লক্ষ টাকা ধার করা হয়েছিল,’’ বলেন পরভিন।