পেঁয়াজের চাষে বাড়তি ভর্তুকি দেবে রাজ্য

কিছুটা হলেও উৎপাদন বেড়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি কৃষি দফতর। অগত্যা ভরসা সেই মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও রাজস্থান।

Advertisement

দেবজিৎ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৯
Share:

কিছুটা হলেও উৎপাদন বেড়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি কৃষি দফতর। অগত্যা ভরসা সেই মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও রাজস্থান। পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে পেঁয়াজ চাষে তো বটেই, পেঁয়াজ সংরক্ষণেও আরও ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্সের সাম্প্রতিক বৈঠকে উদ্যানপালন দফতরের কেউ কেউ জানান, রাজ্যে পেঁয়াজ চাষের পরিমাণ পাঁচ মেট্রিক টন ছাপিয়ে গিয়েছে। কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতর এই তথ্য মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনায় বছর দুয়েক আগে পর্যন্ত ১.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হতো। সেটা বেড়ে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন হয়েছে। অথচ রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে সাড়ে আট মেট্রিক টন। ঘাটতে মেটাতে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও রাজস্থান থেকে পেঁয়াজ আনতে হয়।

এ রাজ্যে ‘সুখসাগর’ নামে একটি পেঁয়াজেরই চাষ বেশি। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ওই পেঁয়াজ মেলে। সারা বছর মেলে অন্য রাজ্য থেকে আনা পেঁয়াজ ‘এগ্রিফাউন্ড ডার্ক রেড’। বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় এই পেঁয়াজের খুবই অল্প চাষ হয়। কৃষিবিজ্ঞানীরা জানান, সুখসাগর অনেকটাই জোলো, ঝাঁঝ কম। এগ্রিফাউন্ড ডার্ক রেড তুলনায় ছোট, কিন্তু কাটতে গেলে চোখে জল আসে। ছোট পেঁয়াজই অধিক সুস্বাদু।

Advertisement

নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ থেকে উন্নত মানের বীজ এনে নিখরচায় দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। সারেও ভর্তুকি মিলছে।’’ কৃষি বিপণন দফতরের এক কর্তা জানান, পেঁয়াজ গোলার চাল খড়ের হওয়া চাই। বাতাস যাতে খেলতে পারে, সেই জন্য দেওয়ালে ফাঁক থাকা দরকার। ভিতরে বাঁশের কঞ্চিতে পেঁয়াজ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ভাবেই বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় এ-পর্যন্ত ১২০০ পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার গড়ে উঠেছে। ফলন বাড়ছে, তাই সংরক্ষণে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন