দামোদর নদের অববাহিকায় সেচ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। মোট ৩০০০ কোটি টাকার প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক (এআইআইবি) থেকে ৩৫% করে ঋণ নেওয়া হবে। বাকি টাকা দেবে রাজ্য। সেচ দফতরের এই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ছাড়পত্র মিলেছে। এআইআইবি গঠনের পরে এটাই রাজ্যের পাওয়া প্রথম ঋণ।
রাজ্যের সেচকর্তারা জানাচ্ছেন, ঝাড়খণ্ড থেকে দুর্গাপুর ব্রিজ পর্যন্ত এলাকা রয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের আওতায়। তার পর থেকে বাঁকুড়ার একাংশ, বর্ধমান এবং হুগলির মধ্য দিয়ে হুগলি নদীতে মিশেছে দামোদর। এই বিস্তীর্ণ এলাকা রাজ্যের অধীন। ঋণের টাকায় সেচ ব্যবস্থার সংস্কার হবে এখানেই। ঝাড়খণ্ডে সামান্য বৃষ্টিতে ব্যারাজ ভরে গেলে জল ছাড়ে ডিভিসি। তাতে প্রতি বছর ভেসে যায় বর্ধমান, হুগলির অনেক এলাকা। এই নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে ডিভিসি-র চাপান-উতোর চলে।
সরকারের পর্যবেক্ষণ, দামোদরের অনেক জায়গায় পলি জমেছে। দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি ক্যানালেও। তিন হাজার কোটি টাকায় নদনদীর সংস্কার, ক্যানালের জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানো, ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হবে। নদীতে বেশি জল ধরা গেলে বন্যা থেকে বাঁচানো যাবে রাজ্যের ওই সব এলাকাকে।
নবান্ন সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক নীতিগত ছাড়পত্র দেওয়ার পরে প্রকল্পের ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’ বা সম্ভাব্যতা-সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এর পরে তৈরি হবে সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এআইআইবি সেটি মঞ্জুর করলেই পাওয়া যাবে ঋণ।