গাড়ি-দৌড়ে রাশ দিতে নজরমিনার

পথ নিরাপত্তায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বা ‘সামলে চালাও, জান বাঁচাও’ ধ্বনি দিয়ে প্রচার চালিয়েও তেমন সুফল মেলেনি বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। তাই এ বার ‘ওয়াচ টাওয়ার’ বা নজরমিনার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০৩:০৯
Share:

পথ নিরাপত্তায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বা ‘সামলে চালাও, জান বাঁচাও’ ধ্বনি দিয়ে প্রচার চালিয়েও তেমন সুফল মেলেনি বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। তাই এ বার ‘ওয়াচ টাওয়ার’ বা নজরমিনার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বেপরোয়া যানবাহনের উপরে নজরদারি চালাতে রাজ্য জুড়ে আপাতত একশো ওয়াচ টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ওই একশো নজরমিনার বসাতে রাস্তা বা জায়গা বাছাই করা হবে কোন মাপকাঠিতে? পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাপ্রবণ এবং দুর্গম, এমন একশোটি রাস্তাতেই ওই সব টাওয়ার বাসনো হচ্ছে। সেগুলি বসাবে পুলিশ। তার পরিকাঠামো সরবরাহ করবে পরিবহণ দফতর।

প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, টাওয়ারের উচ্চতা হবে ২০ ফুট। তাতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে। নজরমিনারে সর্বক্ষণ অন্তত এক জন সশস্ত্র পুলিশকর্মী থাকবেন। কোনও বেপরোয়া গাড়ি দেখলেই তিনি ওয়াকিটকি থেকে পাঠাবেন কন্ট্রোল রুমে। তার ভিত্তিতে পরের মোড়ে সেই গাড়িটিকে হয় আটকানো হবে কিংবা সতর্ক করে দেওয়া হবে।

Advertisement

পরিবহণ-কর্তাদের সঙ্গে গত মাসে এক বৈঠকে বিভিন্ন রাস্তায় ওয়াচ টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। তার পরেই

বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলা হয়। ঠিক হয়, অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ ৪৩টি

এলাকা চিহ্নিত করে বসানো হবে ওয়াচ টাওয়ার। বাকি ৫৭টি নজরমিনার বসানো হবে জঙ্গলমহল, জঙ্গল এবং পাহাড়ের বিপজ্জনক এলাকায়।

পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, প্রতিটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করতে অন্তত আট লক্ষ টাকা খরচ হবে। সেখান থেকেই নজরদারি চালাবেন পুলিশকর্মীরা। সেই সঙ্গে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব গাড়ির গতিবিধি ক্যামেরা-বন্দি করা হবে। রাজ্য পুলিশের টাফিক বিভাগের দায়িত্বেই থাকবে সব নজরমিনার। রাজ্য পুলিশের এডিজি (ট্রাফিক) কুন্দনলাল টামটা বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থায় পথ-নিরাপত্তা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।’’

যান-শাসনে নজরদারির ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে অযথা ওভারটেক এবং গা়ড়ির বেপরোয়া গতির উপরে। পুলিশের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ দুর্ঘটনার পিছনে আছে গাড়ির বেপরোয়া দৌড়। গত মঙ্গলবার গায়ক কালিকাপ্রসাদের অকালমৃত্যুর জন্যও গাড়ির বেলাগাম দৌড়ই দায়ী বলে মনে করছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। উপর থেকে নজরদারি চালিয়ে সেই গতিতেই লাগাম টানতে চাইছে সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement