মিড-ডে মিলে প্রতি স্কুলে রান্নার গ্যাস চায় রাজ্য

ধোঁয়ার সমস্যা এড়াতে গত বছর থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে রান্নার গ্যাসের ব্যবহার শুরু করেছে সরকার।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০০
Share:

ধোঁয়ার সমস্যা এড়াতে গত বছর থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে রান্নার গ্যাসের ব্যবহার শুরু করেছে সরকার। কিন্তু এখনও সর্বত্র সেই ব্যবস্থা হয়নি। এ বার রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে মিড-ডে মিল তৈরির ক্ষেত্রে রান্নার গ্যাসের ব্যবহার ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। আগামী ডিসেম্বরকে সেই লক্ষ্যমাত্রার সময়সীমা ধরা হয়েছে।

Advertisement

স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত বছরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য সরকার। পৃথক রান্নাঘর তৈরি এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ-পাতার পরিবর্তে রান্নার গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। রাজ্যের বহু স্কুলে সিলিন্ডারও সরবরাহ করা হয়। কিন্তু তার পরেও কিছু স্কুল এই প্রকল্পের বাইরে থেকে গিয়েছে। সেগুলিকে এ বার গ্যাসের আওতায় আনতে উদ্যোগী হচ্ছে বিভিন্ন জেলাশাসকের দফতর।

স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এর আগে প্রতিটি জেলার স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, আভেন এবং এলপিজি সংযোগ নেওয়ার জন্য যে টাকা দিতে হয়, সেটা সরকারই দেবে। বর্তমানে মিড-ডে মিলের জন্য প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়াপিছু ৪ টাকা ১৩ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৬ টাকা ১৮ পয়সা দেওয়া হয়।

Advertisement

গ্যাসের বিল দিতে হবে তা থেকেই। কিন্তু সংযোগ দেয় সরকারই। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হবে। এর ফলে দূষণও কমবে। গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে এখনও কাঠ পুড়িয়ে রান্না করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলের ভিতরেই মিড-ডে মিল রান্না করার কথা। কিন্তু রান্নার সময়ে ক্লাস ভরে যায় ধোঁয়ায়। যার জেরে অসুবিধা হয় পড়ুয়াদের। সে কারণেই স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারা জানিয়েছিলেন, মিড-ডে মিলের জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার স্কুলে একসঙ্গে সেই ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই কাজ শুরু হয়েছিল। এ বছর শেষ হওয়ার আগেই ধোঁয়া থেকে পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ মুক্তি দিতে চাইছে রাজ্য।

তবে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ নিয়ে ক্ষোভ থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ওই পরিমাণ টাকার উপরে ফের গ্যাসের সিলিন্ডারের খরচ চাপলে সুষ্ঠু ভাবে মিড-ডে মিল পরিষেবা চালাতে অসুবিধা হবে। দফতরের এক কর্তা অবশ্য মনে করেন, হাজার হাজার স্কুল যখন সেটা করতে পারছে, তখন হাতে গোনা সামান্য কিছু স্কুলের তাতে অসুবিধা হবে না। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এটা সর্বত্র ঠিক ভাবে চালু হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। এর ফলে দূষণ কমে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন