বাড়ি নির্মাণে কঠোর বিদ্যুৎ-বিধির আর্জি

সরকারের দু’টি দফতরের কাছে বণ্টন সংস্থার আবেদন, বাড়ির নকশা অনুমোদনের সময়েই কঠোর ভাবে বিদ্যুৎ-বিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিয়ম ভাঙছেন এক শ্রেণির মানুষ। আর তার দাম চোকাতে হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে!

Advertisement

সরকারের দু’টি দফতরের কাছে বণ্টন সংস্থার আবেদন, বাড়ির নকশা অনুমোদনের সময়েই কঠোর ভাবে বিদ্যুৎ-বিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক। বিধি না-মানলে আটকে দেওয়া হোক বাড়ির নকশা।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অভিযোগ, নিয়মবিধি ভেঙে বাড়ি বানানোয় দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে এবং অন্যান্য জটিলতায় পড়ছে বণ্টন সংস্থা। দুর্ঘটনার জন্য অনেক সময় নিরাপত্তার মাপকাঠিতে সংস্থার ‘রেটিং’ বা নম্বরও কমে যাচ্ছে। এ সব ক্ষেত্রে বাজার থেকে ঋণ পেতেও সমস্যা হয় বণ্টন সংস্থার। পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েত ও নগরোন্নয়ন দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে বণ্টন সংস্থা।

Advertisement

বণ্টন সংস্থার অভিযোগ, বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুৎবাহী তারের থেকে নিরাপদ দূরত্বে নির্মাণকাজ করার নিয়ম অনেক সময়েই মানা হচ্ছে না। বিদ্যুৎবাহী তার থেকে বাড়ির ন্যূনতম ১২ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম ভেঙে পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় তারের গা ঘেঁষেই তৈরি করা হচ্ছে নতুন বাড়ি বা বহুতল আবাসন। বারান্দা থেকে দু’-তিন হাত দূর দিয়েই গিয়েছে বিদ্যুৎবাহী তার। অসতর্কতায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানিও ঘটছে অনেক ক্ষেত্রে।

সমস্যা সামলাতে পঞ্চায়েত ও নগরোন্নয়ন দফতরের দুই সচিবকে চিঠি দিয়ে বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান রাজেশ পাণ্ডে আর্জি জানান, বিদ্যুৎবাহী তার (হাই-টেনশন ও লো-টেনশন) এবং বাড়ির মধ্যে বাধ্যতামূলক ভাবে আইনমাফিক নিরাপদ দূরত্ব রাখা হচ্ছে কি না, তা দেখেই বাড়ির নকশার অনুমোদন দেওয়া হোক। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নির্মাণকাজে বিদ্যুৎ আইন মানার ক্ষেত্রে পুরসভা-পঞ্চায়েতের নজরদারি দরকার। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব সুব্রত গুপ্ত জানান, চিঠি পেয়ে সব পুরসভার চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ-বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখেই যেন বাড়ির নকশা অনুমোদন করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন