গত ছ’বছরে তাঁর অধীনে থাকা দফতরগুলির কার্যকলাপ নিয়ে বিধানসভায় একের পর এক প্রশ্ন করেও জবাব পাননি বিরোধীরা। হাতে গোনা বড়জো়ড় দু-তিন দিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এ বার বিধানসভায় প্রশ্নের জবাব দিতে নিজে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বিধানসভার সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে মমতা যে আগ্রহী, তা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে জানানো হয়েছে।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য প্রশ্নের জবাব দেওয়ার নির্ধারিত দিন শুক্রবার। চলতি সপ্তাহে ওই দিনই তাঁর সামনে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে ধরার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক দলের মধ্যে।
এক শ্রেণির বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ, অভিযোগকে সামনে রেখে তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কঠোর আইনের শাসনে বাঁধতে বিধানসভায় বিল পাশ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের বিদ্বজ্জনেরাও প্রশংসা করছেন। বিধানসভার এক কর্তার কথায়, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে, সেই বার্তা দিতেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রশ্নের জবাব দিতে চাইছেন।
প্রশ্ন হল, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যদি বিধানসভায় প্রশ্নের জবাব দিতে আগ্রহীই হন, তা হলে এ বিষয়ে সভায় পুরোদস্তুর আলোচনা করার কেন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না সরকার? বিরোধীদের আশঙ্কা, আসলে পুরো ব্যাপারটাই সাজানো হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বেছে বেছে শাসক দলের বিধায়কদের প্রশ্নের জবাব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনও বিধায়কই অপ্রিয় প্রশ্ন করবেন না।
বিধানসভা সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবও দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, ওই দু’টি দফতরের কাজেও সাফল্য রয়েছে সরকারের।