দলীয় অনুষ্ঠানে আসছেন বলে বিজেপি-র ৪০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদের আপ্যায়নের দায়িত্ব নেবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নবান্নের সাফ কথা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা সাংসদেরা সার্কিট হাউস বা সরকারি অতিথিশালায় থাকতেই পারেন, তবে তার খরচ দিতে হবে তাঁদেরই। প্রশাসনের এক কর্তার বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণে রাজ্যে এলে কোনও মন্ত্রীকে তাঁর সরকারি পদের মর্যাদা অনুযায়ী প্রাপ্য আতিথেয়তা দেওয়া হবে না। নবান্নের এই নির্দেশের মধ্যে সৌজন্যের অভাব দেখছেন প্রশাসনের কেউ কেউ।
নবান্নের এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আজ, শনিবার বীরভূমে আসছেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সরকারি প্রোটোকল মেনে তাঁর জেলা সফরের কর্মসূচি পৌঁছেছে জেলাশাসকের কাছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে সিউড়ির সার্কিট হাউসে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে পারেন মন্ত্রী। এ কথা জানার পরেই নবান্ন থেকে ওই জেলাশাসকের কাছে নির্দেশ যায়, সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার করলে ‘চার্জ’ নিতে হবে। ব্যক্তিগত কাজে সার্কিট হাউস বা অতিথিশালা ব্যবহারের এটাই দস্তুর।
শুধু রিজিজু নন, আগামী সাত দিনের মধ্যে দক্ষিণ মালদহে রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ, ব্যারাকপুরে জয়ন্ত সিন্হা, ডায়মন্ডহারবারে অর্জুনরাম মেঘওয়াল, উলুবেড়িয়ায় রাধামোহন সিংহ, বোলপুরে বিজয় সাঁপলার মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। তাঁদের সকলের জন্যই নবান্নের একই নির্দেশ। এক সরকারি মুখপাত্র জানান, মন্ত্রীদের নিরাপত্তা ও গাড়ি দেওয়া হবে নিয়ম মেনে। কিন্তু সফরে কোনও সরকারি কর্মসূচি না থাকায় থাকা-খাওয়া-সহ কোনও সরকারি আতিথেয়তা নিখরচায় মিলবে না।
আরও পড়ুন: রাজ্যে মদের দোকানের ঝাঁপ কি ভূতে খুলেছে!
এত দিন কী হয়ে এসেছে?
এক সরকারি কর্তা জানান, যে কোনও কারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা সাংসদেরা কোনও রাজ্য বা জেলায় সরকারি অতিথিশালা, সার্কিট হাউস ব্যবহার করলে তাঁদের থেকে ‘খরচ’ নেওয়া হয় না। এটা সৌজন্যের ব্যাপার। রীতিও। তবে কেউ নিজে থেকে খরচ দিতে চাইলে তা নেওয়া হয়। যেহেতু ওই সাংসদ-মন্ত্রীরা দলের কাজে আসছেন, তাই তাঁদের খরচ বহনের দায়িত্ব বিজেপিরই। কেউ তা না দিলে রাজ্য সরকার চেয়ে নেবে।