প্রধান পরীক্ষক নির্বাচনেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ

পাশাপাশি শিক্ষকদের অধিকাংশ এমনও দাবি করেছেন, প্রধান পরীক্ষক নির্বাচনেও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখার ভুল হলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের ‘কর্তব্যে গাফিলতির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা উচিত বলেই মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। পাশাপাশি শিক্ষকদের অধিকাংশ এমনও দাবি করেছেন, প্রধান পরীক্ষক নির্বাচনেও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

Advertisement

চলতি বছরে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র রিভিউ ও স্ক্রুটিনি করে প্রায় ছ’হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর বেড়েছে। তখনই গাফিলতির অভিযোগে সরব হয় শিক্ষামহল। সম্প্রতি উত্তরপত্র যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে বলে মেনেও নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। শো-কজ করা হয়েছে ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক ও স্ক্রুটিনি করেছেন এমন শিক্ষকদের। গাফিলতি প্রমাণ হলে তাঁদের পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে ভাবনা চিন্তাও শুরু করেছে সংসদ। আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন অধিকাংশ শিক্ষক।

তাঁদের মতে, উত্তরপত্র দেখার পরিশ্রম ও দায়িত্ব বেশি। কিন্তু পারিশ্রমিক কম। তাই অনেক শিক্ষক এই দায়িত্ব নিতে চান না। এখন ভুলের মাশুল হিসেবে কোনও শিক্ষককে উত্তরপত্র দেখার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলে উল্টে শাপে বর হবে। গাফিলতির অভিযোগ উঠলে অন্য ভাবে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলেই অধিকাংশের মত।

Advertisement

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সংসদ তো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। তার বদলে উত্তরপত্র দেখায় ভুল হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন সেই স্কুলের পরিচালন সমিতির কাছে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করতে পারে সংসদ। সমিতি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনতেই পারে।’’ কলেজিয়াম অব এ.এইচ.এম-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘এ বছর নির্বাচনের কাজের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার খাতা দেখার চাপ ছিল। তবুও শিক্ষকদের আরও সচেতন হওয়া উচিত। কারণ উত্তরপত্র দেখার সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে।’’

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির তরফে নবকুমার কর্মকার অবশ্য মনে করেন সংসদের আরও সচেতন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপত্র যাচাইয়ে শৈথিল্য অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরীক্ষকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রধান পরীক্ষক নির্বাচনেও সংসদকে ভাবনা চিন্তা করতে হবে।’’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি, মেসেজেরও জবাব দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন