কেন্দ্রের প্রকল্প নিজেদের নামে চালাচ্ছে রাজ্য: দিলীপ

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তিনি নিজেই তা মানছেন না। সে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পও নিজেদের নামে চালানো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২০
Share:

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তিনি নিজেই তা মানছেন না। সে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পও নিজেদের নামে চালানো হচ্ছে। অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দিলীপবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাঁকেই ‘বাংলা বিরোধী’ বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন।

Advertisement

সোমবার দলের রাজ্য সদর দফতরে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে যে গ্রাম সড়ক যোজনা, রাজ্য সরকার সেই নামও বদলে দিচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সবই নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করছেন। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের যে যুক্তরাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য, সেটাকেই অস্বীকার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র রাজ্যকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ সাহায্য করে। অথচ অধিকাংশ প্রকল্পই রাজ্য সরকার নিজের নামে চালিয়ে দেয়। তাঁর অভিযোগ, এ ভাবেই সস্তা ভোটের রাজনীতি করছে তৃণমূল।

ফিরহাদ অবশ্য দিলীপবাবুর যুক্তি মানতে চাননি। মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই তাঁরও দাবি, অধিকাংশ প্রকল্পেই রাজ্য অধিকাংশ অর্থ খরচ করে। যার পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। ফলে দিলীপবাবুর দাবি সত্য নয়। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘গ্রাম সড়ক যোজনার যে অভিযোগ বিজেপি তুলছে, তা ভিত্তিহীন। কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে না। আমরা বাংলার নাম ব্যবহার করছি। বাংলাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। একজন বাঙালি হিসেবে দিলীপবাবুদেরও এতে আনন্দই হওয়ার কথা। ওঁরা আসলে বাঙালি বিরোধী।’’

Advertisement

এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে কৃষকদের ‘দুরাবস্থা’ নিয়েও সরব হন দিলীপবাবু। তাঁর দাবি, ধান, আলু এবং পাট চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য বরাদ্দ অর্থ রাজ্যকে পাঠিয়ে দিলেও রাজ্য এখনও তা তৈরি করে উঠতে পারেনি। যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গরিব মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন