ছাত্রভোটে নোটা নিয়ে চুপ রাজ্য

বিধানসভা, লোকসভার মতো সাধারণ নির্বাচনে ‘নোটা’ বা অপছন্দের ভোট নিয়ে টানাপড়েন চলেছিল দীর্ঘদিন। শেষ পর্যন্ত ওই সব ভোটে নোটা-র ঠাঁই হলেও ছাত্রভোটে তার দাবি এখনও গ্রাহ্য হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৪
Share:

বিধানসভা, লোকসভার মতো সাধারণ নির্বাচনে ‘নোটা’ বা অপছন্দের ভোট নিয়ে টানাপড়েন চলেছিল দীর্ঘদিন। শেষ পর্যন্ত ওই সব ভোটে নোটা-র ঠাঁই হলেও ছাত্রভোটে তার দাবি এখনও গ্রাহ্য হয়নি। রাজ্য সরকারও ঠিক করেছে, ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ‘অপছন্দের ভোট’-এর স্থান রাখা হবে কি না, সেই বিষয়ে তারা আদৌ নাক গলাবে না। সরকার চাইছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই বিষয়ে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিক।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চায়, ছাত্র সংসদের নির্বাচনেও ‘নোটা’ চালু করা হোক। গত জুলাইয়ে এই নিয়ে সুপারিশও করেছে তারা। রাজ্য জুড়ে গত শিক্ষাবর্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত রেখেছিল সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষে এই নির্বাচন করার জন্য যে-সরকারি নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে পৌঁছেছে, তাতে নোটা চালু করার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ নেই। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই নিজেদের মতো করে নোটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক। এই বিষয়ে আমরা কিছু বলছি না।’’

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেই নির্বাচন কমিশন বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে অপছন্দের ভোট (নান অব দ্য অ্যাবাভ, সংক্ষেপে নোটা)-এর জন্য পৃথক বোতাম রাখার বন্দোবস্ত করে। ইউজিসি মনে করছে, ছাত্রভোটেও এই ব্যবস্থা রাখা উচিত। কিন্তু রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোনও মতামত বা নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরে চাপিয়ে দিতে চাইছে না। গত বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের সঙ্গে এই বিষয়ে এক দফা আলোচনা করেন। কিন্তু সর্বসম্মত কোনও মত বেরিয়ে না-আসায় ১৫ নভেম্বর আবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement