West Bengal Lockdown

১৪ এপ্রিলের পর চলতে পারে কিছু ঘরোয়া উড়ান

১৫ এপ্রিল থেকে দেশের অভ্যন্তরে প্রায় সব রুটে বেসরকারি উড়ান সংস্থা যে-টিকিট বিক্রি করেছে, তার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্যে ১৪ এপ্রিলের পরে লকডাউন চললেও কিছু অভ্যন্তরীণ রুটে উড়ান চলতে পারে বলে বিমান মন্ত্রকের খবর। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীও নাকি এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Advertisement

তবে ঘরোয়া উড়ান চালু হলেও সেটা খুব কম রুটেই হবে মনে করা হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল থেকে দেশের অভ্যন্তরে প্রায় সব রুটে বেসরকারি উড়ান সংস্থা যে-টিকিট বিক্রি করেছে, তার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। লকডাউনের আগে পরপর বাতিল হয়েছে দেশীয় উড়ান। যাত্রীরা তার টিকিটের পুরো টাকা ফেরত পাননি। অধিকাংশ যাত্রীই যাত্রা পিছিয়ে দেন। এই অবস্থায় আবার বুকিং করাটা ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছে কাপা (সেন্টার ফর এশিয়া প্যাসিফিক এভিয়েশন)। অভিযোগ, ধুঁকতে থাকা উড়ান সংস্থার হাতে যাতে কিছুটা নগদ টাকা আসে, তার জন্য এই অন্যায় হতে দেখেও চুপ করে ছিল কেন্দ্র।

১৫ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেশির ভাগ উড়ান যখন বাতিল হবে, তখনও টিকিটের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে মনে করছে ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (টাফি)। অন্য সময়ে যাত্রী যাত্রার দিন বদল করতে চাইলে তাঁকে টিকিট-পিছু প্রায় আড়াই হাজার টাকা দিতে হত। তা ছাড়াও যে-দিনে তিনি যেতে চান, সেই দিনে টিকিটের দাম তাঁর কাটা টিকিটের দামের থেকে বেশি হলে দিতে হত সেটাও। এ বার লকডাউনের জন্য উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, যাত্রীদের দিন বদলের জন্য টাকা দিতে হবে না। কিন্তু এটা বলা হয়নি যে, বাড়তি টাকা নেওয়া হবে না। লকডাউনের সময় কাটা টিকিটে কেউ সেপ্টেম্বরে যেতে চাইলে উড়ান সংস্থা বলতে পারে, ভাড়া-পার্থক্য হিসেবে তাঁকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। যাত্রীর কিছু বলার থাকবে না।

Advertisement

টাফি-র পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি রবিবার বলেন, “ঠিক এই জন্যই আমরা লকডাউন উঠে যাওয়ার ঘোষণার আগে পর্যন্ত অথবা উড়ান চালুর ঘোষণার আগে পর্যন্ত যাত্রীদের টিকিট কাটিনি। উড়ান সংস্থা যদি বলত, উড়ান বাতিল হলে পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যাবে, তা হলে আমরা টিকিট কাটতাম।” সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ১৫ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

বিমান বসিয়ে রেখে ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বেতন দিতে হচ্ছে কর্মীদের। ইন্ডিগো জানিয়েছে, উড়ান চালু হলেও এখন বিমানে খাবার পাওয়া যাবে না। বিমানবন্দরের ভিতরে বাসে একসঙ্গে ১০-১৫ জনের বেশি তোলা যাবে না। এই সময়ে কিছু নগদ টাকা এলে উড়ান সংস্থাগুলির সুরাহা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন