শেষ ফেরা: ইরাকে নিহত সমর টিকাদার এবং খোকন সিকদারের দেহাবশেষ পৌঁছল কলকাতা বিমানবন্দরে। সোমবার। ছবি:শৌভিক দে
গিয়েছিলেন হাসপাতাল গড়তে। রাজ্যে ফিরল দুই বাঙালি শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহাংশ। খোকন সিকদার আর সমর টিকাদারের দেহাংশ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয়।
২০১৪ সালে ইরাকের মসুলে অন্যদের সঙ্গে হাসপাতাল তৈরির কাজ পেয়েছিলেন ওই শ্রমিকেরা। পরে তাঁদের পাঠানো হয় পশ্চিম মসুলের বাদুসে। সেখান থেকে ৩৯ জনকে অপহরণ করে আইএস। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যুর কথা ২০ মার্চ জানান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেই শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন নদিয়ার চোপড়ার ভীমপুর থানার মহাখোলা গ্রামের বাসিন্দা সমর এবং নদিয়ার তেহট্টের ইলেশমারি গ্রামের বাসিন্দা খোকন। এ দিন তাঁদের দেহ নদিয়ায় নিয়ে যান জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পার্থপ্রতিম সরকার।
পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, ‘‘দু’জনের মরদেহ রাতে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের মর্গে রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’ এ দিন দুই বাঙালি শ্রমিকের মরদেহ নিতে গ্রামের কেউই আসেননি। রাজ্য সরকারের তরফে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ওই দুই শ্রমিকের মরদেহে মালা দেন। পরে নদিয়ার প্রশাসনিক কর্তাদের হাতে দেহাংশ তুলে দেন তিনি। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কেন্দ্র যা করার করছে। রাজ্য সরকারও দুই পরিবারের পাশে আছে। আমরা সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’